১৯তম ওভারে ২২ রান তোলা কাইরন পোলার্ড শেষ ওভারে নিতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান। সাকিব আল হাসানের অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা জিতেছে ৮ রানে।
২ ওভারে দরকার ছিল ৩৬ রান। ওবেদ ম্যাকয়ের করা ১৯তম ওভারে ২২ রান তুলে সমীকরণটাকে ৬ বলে ১৪ বানিয়ে ফেললেন কাইরন পোলার্ড। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের পেসার শামার স্প্রিঙ্গারের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে পোলার্ডকে স্ট্রাইক দিলেন নাথান এডওয়ার্ড। এরপর যা হলো সেটিকে কী বলা যায়!
টানা চার বলে যে একটি রানও নিতে পারলেন না টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। সমীকরণটা যখন ১ বলে ১৩ রানের, তখন একটি চার মেরে ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পারলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। যার অর্থ ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ১৫৯ রান থামিয়ে ৮ রানে জিতল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা। যা আপাতত পয়েন্ট তালিকার তুলেছে সাকিব আল হাসানের দলকে।
চতুর্থ ম্যাচে দলের দ্বিতীয় জয়ে সাকিব ব্যাট হাতে ব্যর্থই হয়েছেন। প্রথম তিন ম্যাচের দুবার ব্যাট করে ২৪ রান করা সাকিব আজ ফিরেছেন ১৩ বলে ৭ রান করে। বোলিং করেছেন ১ ওভার, সেই ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে নিয়েছেন ড্যারেন ব্রাভোর উইকেট। সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওয়াইড লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন ৮ বলে ২ রান করা ব্রাভো। তাতে ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা ত্রিনবাগোর স্কোর হয়ে যায় ৮৩/৪।

ঘরের মাঠে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সাকিবের দল ৬ উইকেটে করে ১৬৭ রান। ১৩.৪ ওভারে উসমান তারিকের বলে শর্ট ফাইন লেগে সুনীল নারাইনকে সাকিব যখন ক্যাচ দিলেন অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার স্কোর ৭৭/৫। পরের ৩৮ বলে সেই দল তোলে ৯০ রান। অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম ২৭ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ২০ বলে করেছেন ৪৫ রান। শেষ ওভারে পোলার্ডকে আটকে দেওয়া স্প্রিঙ্গার ব্যাট হাতে ৫ বলে করেছেন ১০ রান।
রান তাড়ায় ত্রিনবাগোর হয়ে ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন ওপেনার কলিন মানরো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পোলার্ডের ২৮ বলের ৪৩। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার পেসার ওবেদ ম্যাকয় ৩৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা: ২০ ওভারে ১৬৭/৬ (অ্যালেন ৪৫, ইমাদ ৩৯*, অ্যান্ড্রু ২২; তারিক ২/৩৭, এডওয়ার্ড ২/৫৬)।
ত্রিনবাগো: ২০ ওভারে ১৫৯/৬ (মানরো ৪৪, পোলার্ড ৪৩*, কার্টি ৩৫; ম্যাকয় ৪/৩৯, সাকিব ১/২)।
ফল: অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ওবেদ ম্যাকয়।