প্রায় আশি বছর আগেকার কলকাতা ও নোয়াখালী দাঙ্গা নিয়ে ভারতে নতুন বিতর্ক

הערות · 4 צפיות

একান্ন বছর বয়সী বিবেক অগ্নিহোত্রী বলিউডের অপেক্ষাকৃত তরুণ পরিচালকদের অন্যতম, যদিও একটি বিশেষ ধারার চলচ্চি??

তিনি গত প্রায় মাসখানেক ধরে তার টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯৪৬ সালের অক্টোবরে ঘটে যাওয়া নোয়াখালীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন – সঙ্গে তখনকার বিখ্যাত 'বন্দে মাতরম' পত্রিকার মাস্টহেডে সেগুলোকে শিরোনামের আকারে সাজিয়ে।

 

এর কোনওটায় তিনি লিখেছেন : 'লক্ষ্মীপুজোর রাতে হিন্দু গণহত্যা সংঘটিত হয় গোলাম সারওয়ার ও তার ভাই ছোট মিঁয়ার ষড়যন্ত্রে'।

 

কোনওটায় আবার জানাচ্ছেন, 'গোলাম সরকারের হাড় হিম করা ফতোয়া : সুচেতা কৃপালনীকে ধর্ষণ করলেই মিলবে 'গাজী' খেতাব!'প্রসঙ্গত, সুচেতা কৃপালনী ছিলেন মোহনদাস গান্ধীর অনুগামী তরুণ কংগ্রেস নেত্রী, যিনি দাঙ্গা ঠেকানোর মিশন নিয়ে তখন নোয়াখালীতেই।বিবেক অগ্নিহোত্রী আর একটি পোস্টে লিখেছেন : 'নোয়াখালীতে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হামলা করে তার ছেলেকে খুন, জ্বালিয়ে দেওয়া হলো দলের অফিস'। এবং এরকম আরও অজস্র।

 

কিন্তু এত পুরনো একটি ঘটনা নিয়ে আচমকা পরিচালকের এই আগ্রহের কারণ কী?

 

আসলে 'ফাইলস ট্রিলজি'-তে বিবেক অগ্নিগোত্রীর তৃতীয় ছবি 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' ভারতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, সেই ছবির প্রচার ও প্রোমোশনের জন্যই এই তুমুল সোশ্যাল মিডিয়া ক্যামপেইন।

 

আমেরিকার বিভিন্ন শহরে এই ছবির প্রিমিয়ার হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই, ভারতেও ছবির আনুষ্ঠানিক ট্রেলার লঞ্চ করা হয়েছে গত ১৬ অগাস্ট – উনআশি বছর আগে যে দিনটিতে অবিভক্ত বাংলার রাজধানী কলকাতায় মুসলিম লীগ 'ডাইরেক্ট অ্যাকশনে'র ডাক দিয়েছিল।

 

বিবেক অগ্নিহোত্রী ছবিটি তৈরিই করেছেন ভারতে দেশভাগের ঠিক আগের বছর যেভাবে কলকাতায় ভয়াবহ দাঙ্গায় ('দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং') হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং সেই দাঙ্গার ঝড় আছড়ে পড়েছিল নোয়াখালীতে – সেই মর্মান্তিক কাহিনি নিয়ে।

 

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ওই রাজ্যে ছবিটিকে কোনও সিনেমা হলেই প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না – অগ্নিহোত্রী যার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন।

הערות