একাকিত্ব কাটিয়ে একটু ভালো থাকা

Komentar · 8 Tampilan

নারী-পুরুষ সবার জন্যই একাকি জীবন চালিয়ে নেওয়া কঠিন। আর আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একা নারীদের বঞ্চনার চিত্র বেশ হ??

নারী-পুরুষ সবার জন্যই একাকি জীবন চালিয়ে নেওয়া কঠিন। আর আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একা নারীদের বঞ্চনার চিত্র বেশ হতাশাজনক।

বিধবা বা বিয়ে না করা নারীরা পারিবারিক কাঠামোতে ভীষণভাবে অবহেলিত। সমাজে মানুষ হিসেবে যতটুকু মর্যাদা থাকার কথা তাও তাদের নেই বা দেওয়া হয় না।
  
এই অবস্থায় পরিবারের অন্যরা যখন নিজেদের মতো ব্যস্ত হয়ে যায়, সেই বাবা-মা-বা একা থাকা ভাই-বোনটির খবর নেওয়ারও সময় হয় না সপ্তাহ বা মাসেও।  

তখন এই ভয়াবহ একাকিত্ব কাটাতে ৪০-৫০ বছর বা আরও বেশি বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাইলেও আমাদের সমাজ তা সুন্দর-সহজভাবে নেয় না। অথচ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যদি কেউ সঙ্গীর অভাব বোধ করেন, তাকে তো উৎসাহ দেওয়া যেতেই পারে।  
 
কেউ এই সময়ে এসে জীবন সঙ্গী পেতে চাইলে কিছু মানুষ সমালোচনা করেন, কিন্তু তার পরিস্থিতি বুঝে সবাই যদি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই তাহলে তাদের নতুন জীবন আরও অনেক সুন্দর হতে পারে।  

তবে এই বয়সে এসে সঠিক সঙ্গী নির্বাচনে কোনোভাবে ভুল হলে তার মাশুল দিতে হয় জীবনভর। তাই সঙ্গী নির্বাচনে হতে হবে কিছুটা সতর্ক। আপনার আর্থিক, সামাজিক অবস্থানও বিবেচনায় রাখতে হবে। পড়ন্ত বয়সে এসে তাকেই সঙ্গী করে নিন, যিনি মন থেকে পাশে থাকতে চান। কারণ এখন আপনি সুস্থ সবল। ভবিষ্যতে অসুস্থ হলে অথবা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে পাশে থাকবে, এটা নিশ্চিত হয়ে নিন।  
বিয়েতে দেনমোহর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর এমন বিয়ের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। নারীরা জানেন তো, দেনমোহর শুধুই কনের অধিকার। সঙ্গীর ওপর চাপ না পড়ে এজন্য এটার পরিমাণ ঠিক করতে হবে বরের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে।  

প্রচলিত ছকের বাইরে এসে ভাবার সময় এসেছে। শুধু সামাজিক মাধ্যমে ভালো ভালো কথা না লিখে, বাস্তব জীবনে পাশের বয়স্ক একা মানুষটিকে ভালোভাবে বাঁচার জন্য পাশে থাকার মানসিকতা তৈরি করা প্রয়োজন। এতো কথার পরও মনে হচ্ছে, এই বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত কেন কেউ যদি বিয়ের পর, নতুন করে আগ্রহ নিয়ে জীবনে বাঁচার রসদ পান, তাতে অন্যদের আপত্তি কেন! মূল কথা একাকিত্ব কাটিয়ে একটু ভালো থাকা।  

Komentar