যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে, আগামী সপ্তাহেই গাজায় একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই প্রস্তাবের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৬০ দিনের জন্য একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দেবেন, যার মধ্যে একাধিক মানবিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রস্তাবের মূল দিকগুলো হলো:
- যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই হামাস ১০ জন জীবিত ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে এবং একইসঙ্গে ইসরায়েলি সেনা বা নাগরিক পরিচয়ে আটক ১৮ জনের মরদেহ ফিরিয়ে দেবে।
- গাজার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর পথ উন্মুক্ত থাকবে এবং এই সহায়তা বিতরণে জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্টসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর নির্ধারিত চ্যানেল ব্যবহার করা হবে।
- ইসরায়েলি বাহিনী সব ধরনের আক্রমণাত্মক সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার জন্য অন্যান্য সামরিক তৎপরতা ও নজরদারি কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
- যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চল, নেতজারিম করিডোর এবং দক্ষিণাঞ্চলে তাদের বাহিনী নতুনভাবে অবস্থান নেবে বা পুনঃমোতায়েন করবে।
- এই প্রস্তাবের আওতায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে আলোচনা শুরুর কথাও বলা হয়েছে, যা অবিলম্বে শুরু হতে পারে।
এর আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার (৪ জুলাই), এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসের ইতিবাচক সাড়াকে "খুবই ভালো খবর" বলে অভিহিত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে "আগামী সপ্তাহেই একটি চুক্তি হবে।"
