আজ রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, “ বাংলাদেশের অবস্থান খুব পরিষ্কার। আমরা চাই যে হিসাব পত্র হোক এবং আমাদের টাকা -পয়সার যে ব্যাপার সেটার সমাধান হোক। আমরা চাই যে এখানে গণহত্যা হয়েছে, সেটার ব্যাপারে তারা দু:খ প্রকাশ করুক, মাফ চাক এবং আমরা চাই যে এখানে আটকে পড়া মানুষগুলো আছে তাদেরকে তারা ফেরত নেক।”
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক উল্লেখ করে এ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় বাংলাদেশ ব্যক্ত করেছেন বলেও জানান তিনি।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অমীমাংসিত বিষয় ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশের এই উপদেষ্টা।
পাকিস্তানের বাজারে সাফটার অধীনে টেক্সটাইল, জ্বালানি, ওষুধ শিল্প ও কৃষি প্রযুক্তির খাতের প্রবেশাধিকার বাংলাদেশ চেয়েছে বলে জানান মি. হোসেন।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জ্বালানি রফতানির ব্যাপারে কথা তুললে প্রাথমিক আলোচনা হওয়ার কথা জানান তিনি। বাণিজ্যসহ বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হওয়ার কথাও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মি. হোসেন।
৫৪ বছরের সমস্যা আজকে একদিনের বৈঠকে এক ঘণ্টায় সমাধান হবে এমন প্রত্যাশা না করতে আহ্বান জানান তিনি। পরস্পরের অবস্থানটা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “দুই পক্ষই আমরা ঠিক করেছি এই বিষয়গুলো আমাদের সমাধান করতে হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মসৃণভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এগুলোকে পেছনে ফেলতে হবে। আমরা দুই পক্ষ সম্মত হয়েছি যে এটি নিয়ে আমরা কথা বলবো এবং চেষ্টা করবো এই ইস্যুগুলো নিয়ে আগামীতে এমনভাবে কথা বলবো যেন আমরা পিছনে ফেলতে পারি।”
পাকিস্তানের সাথে অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রের মতোই স্বাভাবিক সম্পর্ক চান বলে জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।