ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সাইবারজগতে নারী প্রার্থীদের সুরক্ষায় ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল। আজ রোববার ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে তাঁরা এ দাবি জানায়।
আজ বিকেলে ক্যাম্পাসের সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্যানেলের সদস্যরা আট দাবিসংবলিত এই স্মারকলিপি জমা দেন।
ডাকসুর ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের দাবিগুলো হলো ডাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রগুলো হলের কাছাকাছি হতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা ভোটদানে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের জন্য ভোটকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের পরিবর্তে সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হলে নারী শিক্ষার্থীরা ভোটদানে বেশি আগ্রহী হবেন।
শামসুন্নাহার হলের জন্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য চাইছে, কেন্দ্রটি পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হোক। মাস্টারদা সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্র উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব বা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে স্থানান্তর করা হোক। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভোটকেন্দ্র শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে স্থানান্তর করা হোক।
ভোটের দিন পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে একটি নির্দিষ্ট নিরাপত্তা পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের বাইরে, সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ভোট গ্রহণের আগপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ভোটের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বাসের অতিরিক্ত ট্রিপের ব্যবস্থা করতে হবে।
ডাকসুতে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নবায়ন করা (রিনিউড) হল কার্ড ব্যবহার করতে হয়। তবে অনাবাসিক অনেক শিক্ষার্থীর হল কার্ডই নেই। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড এবং ২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের পে-ইন স্লিপের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্র করে সাইবার বুলিং, নারী প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি একধরনের অশোভন ও নারীবিদ্বেষী আচরণ দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ তৈরি করতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে অনেকেই ডাকসুর আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। এসব ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনের দিন যেহেতু অধিক ভিড় হবে, তাই সব বুথে পর্যাপ্ত খাবার পানি, স্যানিটেশন সামগ্রী এবং মেডিকেল টিম রাখতে হবে।