সরকারি নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা বাধ্যতামূলক করে পরিপত্র জারি

Komentar · 17 Tampilan

সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে ১০ - ১২তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করে পরিপত্

আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে বাসস।

 

পরিপত্র অনুযায়ী, প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রাখা হবে।

 

মূল তালিকা থেকে কেউ চাকরিতে যোগ না দিলে বা যোগ দেওয়ার পর কেউ চাকরি ছাড়লে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তালিকার মেয়াদ থাকবে এক বছর।

 

এর আগে সরকারি চাকরির ১৩ - ২০তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণের নিয়ম রেখে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 

নতুন পরিপত্র জারি হলে ১০-২০তম গ্রেডের সব নিয়োগেই অপেক্ষমাণ তালিকা রাখতে হবে। বিসিএস কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ম গ্রেডে।

 

কর্মকর্তারা বলছেন, ১০ - ২০তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা হলে কোনো দপ্তরে দীর্ঘদিন পদ ফাঁকা থাকবে না। নিয়োগপ্রার্থীদেরও বারবার আবেদন করতে হবে না। এর ফলে সরকার ও প্রার্থীদের খরচ কমবে।

 

অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে যেভাবে নিয়োগ বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে বিজ্ঞাপন দেওয়া পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের সুপারিশ করা হবে।

 

এরপর নিয়োগ পরীক্ষার মেধাক্রম অনুযায়ী প্রতিটি পদের জন্য দুজন করে প্রার্থীর নাম ও রোল নিয়োগ কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরে সিলগালাকৃত খামে গোপনভাবে অপেক্ষমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।

 

অপেক্ষমাণ তালিকার মেয়াদ হবে নিয়োগের সুপারিশ দেওয়ার দিন থেকে এক বছর। তবে কোনো কারণে এর মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে অপেক্ষমাণ তালিকা আর কার্যকর থাকবে না।

 

তবে জরুরি না হলে একটি নিয়োগ দেওয়ার এক বছরের মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না।

 

কোনো পদ ফাঁকা হলে অপেক্ষমাণ থাকা প্রার্থীদের পরীক্ষার ফল উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটি নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে।

 

পরিপত্রের অনুযায়ী, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে যারা নিয়োগ পাবেন তাদের জ্যেষ্ঠতা প্রথম নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের পরে নির্ধারিত হবে।

 

অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে একই দিনে একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হলে নিয়োগ পরীক্ষার মেধাক্রম অনুযায়ী তাদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে।

 

নিয়োগ পরীক্ষায় একই নম্বর পেলে বয়সের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। কোনো কারণে বয়সও একই হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের শিক্ষাবর্ষের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

Komentar