হীন চিন্তা করা প্রার্থীদের ভোটদানে বিরত থাকার ঘোষণা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের

Mga komento · 19 Mga view

হীন চিন্তা করা প্রার্থীদের ভোটদানে বিরত থাকার ঘোষণা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক?

হীন চিন্তা করা প্রার্থীদের ভোটদানে বিরত থাকার ঘোষণা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ডাকসুতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ‘আদিবাসীবিষয়ক সম্পাদকীয় পদ’ সৃষ্টি করা, যেখানে শুধু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ শতাংশ শিক্ষা কোটা বাস্তবায়ন করা; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক আবাসিক সিট সংরক্ষিত রাখা, বিশেষত আদিবাসী নারী শিক্ষার্থীদের জন্য; ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধীন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সংগ্রহশালা নির্মাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী–সম্পর্কিত নানা জার্নাল ও পুস্তক রাখা; পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রধানতম সামাজিক উৎসব (বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহু-বিষু) উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থা রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে তা অন্তর্ভুক্ত করা; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড এবং বৃত্তির ব্যবস্থা রাখা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কুর্নিকোভা চাকমা বলেন, ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী শিক্ষার্থী–পরিবার–নারী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিনিধিত্বের সুযোগ রাখা, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তিমূলক হিসেবে গড়ে তোলার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই দাবি উপেক্ষা করেছে। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

কুর্নিকোভা চাকমা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার দৌরাত্ম্য এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আত্মপরিচয় ও সংগ্রামকে বিকৃত করে দেখার মানসিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত ১৫ জানুয়ারি ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র হামলায় রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যাসহ ১৫ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়সারা বিবৃতি দিলেও ওই হামলায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করেনি।

 
Mga komento