রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত ওআইসি’র

Mga komento · 11 Mga view

য়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার অষ্টম বার্ষিকীতে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআ

সংস্থাটি ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও তাদের অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংহতি এবং টেকসই সমাধানের জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ওআইসি রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেছে,  তারা এখনো নিপীড়ন, রাষ্ট্রহীনতা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শিকার হচ্ছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক এখনো বাংলাদেশ ও অন্যান্য আশ্রয়দানকারী দেশে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে। মিয়ানমারেও হাজার হাজার মানুষ হত্যাকাণ্ড, সীমাহীন বৈষম্য ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন।

ওআইসি আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোর প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলমান মামলা, যা রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার কাজ করছে।

সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, সংঘাতের সব পক্ষ-বিশেষ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিকে আইসিজের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা মেনে রোহিঙ্গা নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রে রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার উদারতার প্রশংসা করা হয় এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বহু মুসলিম দেশের মানবিক সহায়তাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে, ওআইসি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে  আরও বলা হয়, সংকটের মূল কারণগুলো নিরসনে আন্তর্জাতিক সংহতি ও সমন্বিত পদক্ষেপ জোরদার করতে হবে এবং একটি সমন্বিত, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের দিকে এগুতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, আজকের এই স্মরণীয় দিনে ওআইসি রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহস ও দৃঢ়তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং তাদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

Mga komento