জাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতায় পিছিয়ে নারী শিক্ষার্থীরা

نظرات · 4 بازدیدها

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ৩৩ বছর পর বইছে নির্বাচনের হাওয়া। এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্য

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ৩৩ বছর পর বইছে নির্বাচনের হাওয়া। এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ২১টি আবাসিক হলের ১১ হাজার ৯১৯ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে নারী ৪৯ শতাংশ।

প্রায় সমানসংখ্যক ভোটার থাকলেও জাকসুতে নারী প্রার্থী ২০ শতাংশ। হল সংসদের চিত্র আরও করুণ। ১০টি ছাত্রী হলে দেড়শ পদের বিপরীতে প্রার্থী মাত্র ১২৮ জন। অর্থাৎ কোনো কোনো হলে সব পদে প্রার্থীই নেই।

জাবির নানা ইস্যুতে পুরুষের সঙ্গে সমানতালে সোচ্চার হলেও নির্বাচন ঘিরে নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্যাম্পাসে নারী বিদ্বেষমূলক আচরণ, হেনস্তা এবং সামাজিকভাবে তাদের খাটো করার প্রবণতা এখনও অনলাইন-অফলাইন উভয় জায়গাতেই বিদ্যমান।

নারীদের এই পিছিয়ে পড়াকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষকরা। তাদের ভাষ্য, নির্বাচনে প্রার্থীতা জানানোর মানেই হলো নিজেকে সামনে নিয়ে আসা, আলাদা অবস্থান তৈরি করা। কিন্তু সমাজে এখনও নারী নেতৃত্বকে ঘিরে রক্ষণশীল মানসিকতা বিরাজ করছে। পাশাপাশি নারীদের দমনে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হয়, যা তাদের রাজনীতিতে অংশ নিতে আতঙ্কিত করে তোলে।

অন্যদিকে প্রশাসনের দাবি, নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে তারা সজাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাশেদুজ্জামান বলেন, “নির্বাচনে নারীদের জন্য ছয়টি পদ আলাদাভাবে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এটি নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।”

আন্দোলনের মতো ভবিষ্যতের ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্বেও নারীর শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

نظرات