ক্যানসারের সঙ্গে ক্লার্কের লড়াই: আবারও অস্ত্রোপচারের টেবিলে

Comments · 1 Views

আবারও অস্ত্রোপচারের টেবিলে শুতে হলো অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট

আবারও অস্ত্রোপচারের টেবিলে শুতে হলো অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কিংবদন্তি ক্লার্ক অনেক দিন ধরেই ত্বকের ক্যানসারে ভুগছেন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছে তাঁর, অস্ত্রোপচার করিয়েছেন বেশ কয়েকবার। সর্বশেষ সোমবার আরেকবার ত্বকে ক্যানসার অপসারণ হয়েছে তাঁর। ইনস্টাগ্রামে সেই তথ্য জানিয়ে সবাইকে নিয়মিত ত্বক পরীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছেন ক্লার্ক।

ক্লার্ক লিখেছেন, ‘আরেকটি দিন, আরেকটি ত্বকের ক্যানসার অপসারণ।’ ছবিতে দেখা যায়, তিনি বসে আছেন এবং নাকে প্লাস্টার লাগানো রয়েছে।

ক্লার্ক ২০০৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১১৫টি টেস্ট, ২৪৫টি ওয়ানডে ও ৩৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন।

টেস্টে তিনি ৭৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জিতেছেন ৪৭টি, হেরেছেন ১৬টি। ওয়ানডেতে তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ১৩৯ ম্যাচ। ক্লার্কের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ২০১৩-১৪ সালে অ্যাশেজ ৫-০ ব্যবধানে জেতার পাশাপাশি ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে।

মেয়ের সঙ্গে ক্লার্ক
মেয়ের সঙ্গে ক্লার্কইনস্টাগ্রাম

ক্লার্কের প্রথম ত্বকের ক্যানসার ধরা পড়ে ২০০৬ সালে। ২০১৯ সালে আবারও আক্রান্ত হন—তিনটি নন-মেলানোমা লেজন ধরা পড়ে তাঁর শরীরে। তখনই সতর্ক করেছিলেন সবাইকে, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের মার্চে কপাল থেকেও অস্ত্রোপচার করে ত্বকের ক্যানসার অপসারণ করা হয়।

আরও পড়ুন

ক্যানসার নিয়ে তাঁর ভয়টা ২০২৩ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশ করেছিলেন এভাবে, ‘এটা ভীতিকর এক বিষয়। আমি একজন বাবা, আমি কোথাও যেতে চাই না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমার সাত বছর বয়সী মেয়ের বেড়ে উঠতে সাহায্য করা এবং ওর জন্য ভালো উদাহরণ স্থাপন করা।’

ক্লার্ক তাঁর ত্বকের ক্যানসারের জন্য প্রধানত দীর্ঘ সময় সূর্যের নিচে থাকার অভ্যাসকে দায়ী করেছেন। একটা উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতে পুরো দিন মাঠে থাকা, আট ঘণ্টা সূর্যের নিচে থাকা কল্পনা করুন। অনেক খেলোয়াড় ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ পরে থাকে, তাই কান বা মুখ সুরক্ষিত থাকে না। শার্টের হাতা ছোট, তাই হাতের ওপরের অংশও খোলা থাকে।’

Comments