'কর্মীদের বেতন কীভাবে দেবো?' ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্কে আতঙ্কে গার্মেন্টসহ অন্যান্য খাতের ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

Comentários · 22 Visualizações

এক ভুতুড়ে নিরবতা তৈরি হয়েছে এন কৃষ্ণমূর্তির গার্মেন্ট কারখানায়। এটি ভারতের পোশাক রফতানির অন্যতম কেন্দ্র তি??

মেঝেতে প্রায় ২০০টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেলাই মেশিনের মধ্যে কাজ করছে মাত্র কিছু লোক।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা বৃহত্তম রিটেল (খুচরা) বিক্রেতার জন্য মৌসুমের শেষ অর্ডারের কাজ করছেন কর্মীরা। ওই অর্ডার শিশুদের পোশাক তৈরির।

 

ওই ঘরের এক প্রান্তে, নতুন ডিজাইনের জন্য কাপড়ের নমুনার স্তূপে ধুলো জমছে যার নেপথ্যে রয়েছে ভারতের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ৫০ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক। এই শুল্ক বুধবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক, চিংড়ি এবং রত্ন ও গহনাসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রধান রফতানিকারক দেশ ভারত।বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার তেল ও অস্ত্র কেনার জন্য ২৫ শতাংশ জরিমানাসহ এই চড়া শুল্ক চাপানোটা ভারতীয় পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিরই সমান।

 

এই অনিশ্চিত পরিস্থিতি ব্যবসায়ী এবং তাদের জীবিকার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলছে তা খতিয়ে দেখতে ভারতের প্রধান রপ্তানি কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেছে বিবিসি সংবাদদাতারা।

 

'টার্গেট', 'ওয়ালমার্ট', 'গ্যাপ' এবং 'জারা'-র মতো ব্র্যান্ডের জন্য ১৬ বিলিয়ন ডলার (১৬০০ কোটি ডলার) মূল্যের যে 'রেডি-টু-ওয়্যার' পোশাক রপ্তানি করে ভারত, তার তৃতীয়াংশ তৈরি হয় এই তিরুপ্পুরে। কিন্তু এই মুহূর্তে নিজেদের ভবিষ্যতে নিয়ে উদ্বিগ্ন এই শহর।

 

মি. কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, তার ক্লায়েন্টরা (গ্রাহকরা) সমস্ত অর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে। তার কথায়, "সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর কিছু করার থাকবে না।"

 

ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল এই ব্যবসায়ীর। তার জন্য নতুন কর্মী নিয়োগও করেছিলেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে শুল্ক আরোপের পর সেই পরিকল্পনা তাকে স্থগিত রাখতে হয়েছে। নতুনভাবে নিযুক্ত ২৫০ জন কর্মীকে বসিয়ে রাখতে হয়েছে।

 

পরিস্থিতিকে আর বেগতিক করে তুলেছে এই ঘোষণার সময়। ক্রিসমাসের কথা মাথায় রেখে বার্ষিক রপ্তানির প্রায় অর্ধেক কাজই এই সময়ের মধ্যে হয়ে যায়।

 

এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য গার্মেন্টস তৈরির ইউনিটগুলোদেশীয় বাজার এবং দীপাবলির মৌসুমের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

Comentários