দেশ ছাড়ার ইচ্ছা থাকলে তো দেশে ব্যবসা করতাম না

Bình luận · 15 Lượt xem

আজ থেকে তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে নতুন নাটকের শুটিং শুরু করবেন। দেশের বাইরে শুটিং, ঘোরাঘুরিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষ

আজ থেকে তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে নতুন নাটকের শুটিং শুরু করবেন। দেশের বাইরে শুটিং, ঘোরাঘুরিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর মুখোমুখি কেয়া পায়েল। কথা বলেছেন মনজুরুল আলম

প্রথম আলো : 

ফেসবুকে নেপালে ঘোরাঘুরির কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন দেখলাম।

 

 

কেয়া পায়েল: ও হ্যাঁ, নেপালের ছবি পোস্ট করেছি। তখন নেপালে শুটিংয়ে ছিলাম। এই নিয়ে অনেকের কাছে বেশ কনফিউশন তৈরি হয়। অনেকেই মনে করছে আমি নেপাল। আসলে শুটিংয়ে গেলে তো কাজের চাপ থাকে। খুব বেশি ছবি পোস্ট করা হয় না। যে কারণে অনেক ছবি রেখে দিই পরে পোস্ট করার জন্য। এগুলো দু-চার দিন পরপর পোস্ট করি। এখন ঢাকাতেই।

 

প্রথম আলো : 

নেপালে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

 

 

কেয়া পায়েল: এবারই প্রথম নেপালে শুটিং করতে গিয়েছি। পরিচালক ছিলেন তানিমুর রহমান অংশু। সহশিল্পী ছিলেন পলাশ। গল্প সুন্দর, একই সঙ্গে নেপালও আমার পছন্দের দেশ। অনেক জায়গাই আমার পছন্দের। কিন্তু শুটিং থাকলে মন খুলে তেমন কিছুই দেখা হয় না। তবে একদিন শুটিংয়ের ফাঁকে কিছুটা ঘুরেছি। শুটিংও করতে হয়, সৌন্দর্যও দেখতে হয়, এই আরকি।

 

কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে
কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

প্রথম আলো : 

কানাডায়ও কি শুটিংয়ে গিয়েছিলেন?

 

 

কেয়া পায়েল: না, কানাডা গিয়েছিলাম একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। কানাডাও বেশ কিছু জায়গায় ঘুরেছি।

 

 

প্রথম আলো : 

দেশের বাইরে আপনার পছন্দের জায়গা কোনটা?

 

 

কেয়া পায়েল: আমার কাছে সব দেশ অনেকটা একই রকম মনে হয়। কেন সেটা জানি না। বাইরে কোনো দেশ যে খুব বেশি টানে, তেমন না। বিদেশ গেলেই দম বন্ধ বন্ধ লাগে। দেশে ফিরতে পারলে শান্তি পাই। দেশটাকে আমার কাছে সেরা মনে হয়।

 

প্রথম আলো : 

দেশের কোন জায়গা সবচেয়ে বেশি পছন্দ?

 

 

কেয়া পায়েল: আমার নানাবাড়ি ফরিদপুর। নানাবাড়ির জন্যই সেটা আমার কাছে সেরা জায়গা। এ ছাড়া কক্সবাজার, সিলেট, বান্দরবান, রাজশাহী আমার ভীষণ পছন্দের জায়গা। এসব জায়গায় শুটিংয়ে গেলেও ঘোরার চেষ্টা করি।

 

কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে
কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

প্রথম আলো : 

এখন তো অনেক অভিনয়শিল্পীই বিদেশে স্থায়ী হওয়া কথা ভাবছেন, আপনার কী ইচ্ছা?

 

 

কেয়া পায়েল: আমার আপাতত দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। এখন ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন ভাবি না। ভাগ্যে যেটা আছে, হবে। এখন দেশ ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে তো দেশে ব্যবসায় লগ্নি করতাম না। তা ছাড়া দেশে আমার মা-বাবা সবাই রয়েছেন। আমার এখানে ভালো অভিনয় ক্যারিয়ারও রয়েছে।

 

 

প্রথম আলো : 

কিসের ব্যবসা?

 

 

কেয়া পায়েল: এক বছর হলো পারলারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অভিনয়ের পাশাপাশি এখানে সময় দিতে হয়।

 

আরও পড়ুন

প্রথম আলো : 

অনেক তারকাই পারলার ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা কেউ অনুপ্রেরণা দিয়েছেন?

 

 

কেয়া পায়েল: পারলার ব্যবসার জন্য দেশের কোনো তারকার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হইনি। এটা ছিল আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখতাম। পূরণ হয়েছে। ভালো লাগা থেকেই নাম লেখানো। এই যে আজ আমার শুটিং নেই, কিছুক্ষণ পরেই পারলারে যাব। সেখানে সময় দেব। এটাই শুধু ভালো লাগা থেকে করা।

 

কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে
কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

প্রথম আলো : 

তাহলে এভাবেই ছুটির দিন কাটে?

 

 

কেয়া পায়েল: পুরো সময় পারলারে থাকি, তা না। বাসাতেই থাকা হয়। পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হয়। আমার ছোট বোন আছে, ওকে সময় দিই। গেট টুগেদার হয়। কিছু পড়াশোনা করি। কাল শুটিং আছে, সেটার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। সব মিলিয়ে ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করি।

 

প্রথম আলো : 

শোনা যাচ্ছে নাটকে লগ্নি কমছে, অনেকেই বেকার হচ্ছেন, এটা আপনার ব্যস্ততায় কোনো প্রভাব ফেলেছে?

 

 

কেয়া পায়েল: ঈদের পরে এমনিতেই কাজের সংখ্যা কম ছিল। সেই সময়ে অনেকেই কাজ করেননি। সেই তুলনায় এখন কাজের সংখ্যা কিন্তু আগের চেয়ে বাড়ছে। ঢাকা, ঢাকার বাইরে, দেশের বাইরে নিয়মিত শুটিং হচ্ছে। দুটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল এসেছে। ক্যাপিটাল ড্রামা, বিগ সিটি। নিয়মিত নাটক করছেন। সবাই কিন্তু কাজের জায়গায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। ভালো কিছুর চেষ্টা সবারই রয়েছে।

 

কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে
কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে
আরও পড়ুন

প্রথম আলো : 

নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপনার নাটক ১৫ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে...

 

 

কেয়া পায়েল: যে প্ল্যাটফর্মেই নাটক প্রচার হোক না কেন, গল্প ভালো হলে দর্শক দেখবেনই। ‘অনেক দিন পরে’ নামের এই নাটকে আমার সহশিল্পী ছিলেন মুশফিক আর ফারহান। নাটকটির পরিচালক রুবেল হাসান। এ ছাড়া দুই দিন আগে প্রচার হয়েছে তুমি আমার বউ। সহশিল্পী তৌসিফ। এটাও যাঁরা দেখেছেন, প্রশংসা করেছেন। গল্পে সিনেম্যাটিক একটা ফিল ছিল।

 

প্রথম আলো : 

কখনো কি মনে হয়েছে, এই নাটকের গল্প থেকে ভালো সিনেমা হতে পারত?

 

 

কেয়া পায়েল: এটা তো অনেক সময়ই মনে হয়। কিন্তু সিনেমা তো সিনেমাই। নাটকের জায়গায় নাটক। ভালো কোনো গল্প পেলে অনেক সময় মনে হয়, একটু বড় পরিসরে চিন্তা করলে এটা ভালো সিনেমা হতে পারত। তবে সেই সিনেমার নায়িকা হলে দর্শক কীভাবে নিতেন, কাজটি নাটকের মতো পছন্দ করতেন কি না, সেটা ভাবা হয়নি।

 

প্রথম আলো : 

এখন তো অভিনয়শিল্পীরা ফেসবুক গ্রুপ খুলে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। আপনার এমন গ্রুপ আছে?

 

 

কেয়া পায়েল: ফেসবুকে তো ভক্ত গ্রুপ রয়েছেই। ভক্তরা আমার কাজগুলো নিয়ে অনেক আপডেট। কোন কাজ কবে আসবে, আগেই জানতে চান। সামনে কার সঙ্গে শুটিং, সেগুলোও জানাতে হয়। তাঁদের অনেক আবদার থাকে। এ কারণে তাঁদের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে আড্ডাও দিতে হয়। ভক্তদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। দিন শেষে তাঁরাই আমাদের সব।

 

কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে
কেয়া পায়েল। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে
Bình luận