অচেনা শহরে ববিতার ঘোরাঘুরি, রইল ১২ ছবি

Bình luận · 19 Lượt xem

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে কানাডার কিচেনার শহরে গেছেন দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী ফরিদা আক্তার ববিতা। একমাত্র ছেলে অ

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে কানাডার কিচেনার শহরে গেছেন দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী ফরিদা আক্তার ববিতা। একমাত্র ছেলে অনিক পড়াশোনা শেষে এখন সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। গত মাসের শেষ দিকে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে ববিতা জানিয়েছিলেন, মা-ছেলে মিলে ঘুরতে যাবেন হ্যালিফ্যাক্সে। ঘোরাঘুরির কয়েকটি স্থিরচিত্র দেখে নেওয়া যাক:

ববিতা জানালেন, হ্যালিফ্যাক্সে যাওয়ার পরিকল্পনা এবারের জন্মদিনে করা হয়। অনিক আমাকে জানায়, হ্যালিফ্যাক্স ট্যুর আমার জন্মদিনের উপহার। সেভাবেই সবকিছু ওর পরিকল্পনা। কয়েক দিন আগে আমরা গেলাম। মা-ছেলে মিলে পাঁচ দিন ছিলাম। সুন্দর সময় কেটেছে।
২ / ১২
‘অনিকের কাছে হ্যালিফ্যাক্সের গল্প শুনেছি। আমার কাছে অচেনা ছিল। এবার গিয়ে রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছি। পাঁচ দিন কীভাবে পার হয়ে গেল, টেরই পাইনি।’
‘অনিকের কাছে হ্যালিফ্যাক্সের গল্প শুনেছি। আমার কাছে অচেনা ছিল। এবার গিয়ে রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছি। পাঁচ দিন কীভাবে পার হয়ে গেল, টেরই পাইনি।’
 
৩ / ১২
ববিতা জানালেন, হ্যালিফ্যাক্স হলো কানাডার নোভা স্কশিয়া প্রদেশের রাজধানী। এটি শুধু ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও সমুদ্রের অসাধারণ মেলবন্ধনের জন্য বিখ্যাত। শুনেছি, আটলান্টিক মহাসাগরের পাড়ে অবস্থিত এই শহর সমুদ্রের গন্ধ, ঐতিহাসিক স্থান আর প্রাণবন্ত সংস্কৃতির জন্য ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।  ছবিতে ছেলে অনিকের সঙ্গে মা ববিতা
ববিতা জানালেন, হ্যালিফ্যাক্স হলো কানাডার নোভা স্কশিয়া প্রদেশের রাজধানী। এটি শুধু ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও সমুদ্রের অসাধারণ মেলবন্ধনের জন্য বিখ্যাত। শুনেছি, আটলান্টিক মহাসাগরের পাড়ে অবস্থিত এই শহর সমুদ্রের গন্ধ, ঐতিহাসিক স্থান আর প্রাণবন্ত সংস্কৃতির জন্য ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। ছবিতে ছেলে অনিকের সঙ্গে মা ববিতা
৪ / ১২
হ্যালিফ্যাক্সে গিয়ে অনেক ঐতিহাসিক জায়গায় গিয়েছি। সামুদ্রিক খাবার বেশ মজার ছিল। শুনেছি, হ্যালিফ্যাক্সের সামুদ্রিক খাবার বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। শহরটি আয়তনে ছোট হলেও প্রাণবন্ত এবং আশপাশে রয়েছে দারুণ সব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
হ্যালিফ্যাক্সে গিয়ে অনেক ঐতিহাসিক জায়গায় গিয়েছি। সামুদ্রিক খাবার বেশ মজার ছিল। শুনেছি, হ্যালিফ্যাক্সের সামুদ্রিক খাবার বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। শহরটি আয়তনে ছোট হলেও প্রাণবন্ত এবং আশপাশে রয়েছে দারুণ সব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
৫ / ১২
হ্যালিফ্যাক্স ওয়াটারফ্রন্ট বোর্ডওয়াক সেখানকার প্রাণকেন্দ্র। সমুদ্রের ধারে এই ওয়াটারফ্রন্টে হাঁটতে হাঁটতে দোকান, ক্যাফে এবং মিউজিয়াম চমৎকারভাবে এক্সপ্লোর করা যায়।
হ্যালিফ্যাক্স ওয়াটারফ্রন্ট বোর্ডওয়াক সেখানকার প্রাণকেন্দ্র। সমুদ্রের ধারে এই ওয়াটারফ্রন্টে হাঁটতে হাঁটতে দোকান, ক্যাফে এবং মিউজিয়াম চমৎকারভাবে এক্সপ্লোর করা যায়।
৬ / ১২
ববিতা বললেন, ‘আমরা যে সময়টায় গিয়েছি, পর্যটকেরা এই সময়টাতে বেশি ভিড় করেন। নানান জায়গা থেকে মানুষজন আসেন। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণত হ্যালিফ্যাক্স পর্যটকদের পদচারণে মুখর থাকে।’  ছবিতে ছেলে অনিকের সঙ্গে মা ববিতা
ববিতা বললেন, ‘আমরা যে সময়টায় গিয়েছি, পর্যটকেরা এই সময়টাতে বেশি ভিড় করেন। নানান জায়গা থেকে মানুষজন আসেন। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণত হ্যালিফ্যাক্স পর্যটকদের পদচারণে মুখর থাকে।’ ছবিতে ছেলে অনিকের সঙ্গে মা ববিতা
৭ / ১২
হ্যালিফ্যাক্স থেকে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে কিচেনার শহরে ফিরে আসেন। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে জানালেন, ‘ভবিষ্যতে সময়-সুযোগ পেলে আবার বেড়াতে যেতে পারি। কারণ, জায়গাটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
হ্যালিফ্যাক্স থেকে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে কিচেনার শহরে ফিরে আসেন। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে জানালেন, ‘ভবিষ্যতে সময়-সুযোগ পেলে আবার বেড়াতে যেতে পারি। কারণ, জায়গাটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
৮ / ১২
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা এখন আর অভিনয়ে নিয়মিত নন। ১০ বছর আগে তাঁর অভিনীত সিনেমা মুক্তি পায়। এরপর কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও গল্প-পরিচালক ও সার্বিক আয়োজন তাঁকে টানেনি বলে জানান।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা এখন আর অভিনয়ে নিয়মিত নন। ১০ বছর আগে তাঁর অভিনীত সিনেমা মুক্তি পায়। এরপর কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও গল্প-পরিচালক ও সার্বিক আয়োজন তাঁকে টানেনি বলে জানান।
 
৯ / ১২
১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ববিতা। বাবা-মা চেয়েছিলেন, তাঁদের মেয়ে যেন বড় হয়ে চিকিৎসক হন। বড় বোন সুচন্দার অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়। এতে ববিতা অভিনয় করেন রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে।
১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ববিতা। বাবা-মা চেয়েছিলেন, তাঁদের মেয়ে যেন বড় হয়ে চিকিৎসক হন। বড় বোন সুচন্দার অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়। এতে ববিতা অভিনয় করেন রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে।
১০ / ১২
সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনিসংকেত’ ছবিতে অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান ববিতা। চার দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে গ্রামীণ, শহুরে কিংবা সামাজিক অ্যাকশন—সব ধরনের ছবিতেই ববিতা ছিলেন সাবলীল। সত্তর ও আশির দশকে তরুণ-তরুণীদের কাছে তিনি ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয়। তাঁর ফ্যাশন-ভাবনা তরুণীদের প্রভাবিত করত। ছবিতে ছেলে অনিকের সঙ্গে মা ববিতা
সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনিসংকেত’ ছবিতে অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান ববিতা। চার দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে গ্রামীণ, শহুরে কিংবা সামাজিক অ্যাকশন—সব ধরনের ছবিতেই ববিতা ছিলেন সাবলীল। সত্তর ও আশির দশকে তরুণ-তরুণীদের কাছে তিনি ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয়। তাঁর ফ্যাশন-ভাবনা তরুণীদের প্রভাবিত করত। ছবিতে ছেলে অনিকের সঙ্গে মা ববিতা
১১ / ১২
বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে ববিতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেন। তাঁর অভিনীত ছবির সংখ্যা আড়াই শরও বেশি। এর মধ্যে ‘বাঁদী থেকে বেগম’ (১৯৭৫), ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬), ‘বসুন্ধরা’ (১৯৭৭), ‘রামের সুমতি’ (১৯৮৫) ও ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ (১৯৯৬) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ছবিতে ছেলে অনিকের সঙ্গে মা ববিতা
বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে ববিতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেন। তাঁর অভিনীত ছবির সংখ্যা আড়াই শরও বেশি। এর মধ্যে ‘বাঁদী থেকে বেগম’ (১৯৭৫), ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬), ‘বসুন্ধরা’ (১৯৭৭), ‘রামের সুমতি’ (১৯৮৫) ও ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ (১৯৯৬) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ছবিতে ছেলে অনিকের সঙ্গে মা ববিতা
১২ / ১২
ববিতা অভিনীত আরও উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘শেষ পর্যন্ত’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘আলোর মিছিল’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘লাঠিয়াল’, ‘একমুঠো ভাত’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘এখনই সময়’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘পেনশন’, ‘দহন’, ‘চণ্ডীদাস ও রজকিনী’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিন কন্যা’, ‘মিস লংকা’, ‘জীবন পরীক্ষা’, ‘জীবন সংসার’ ও ‘লাইলি মজনু’।
ববিতা অভিনীত আরও উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘শেষ পর্যন্ত’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘আলোর মিছিল’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘লাঠিয়াল’, ‘একমুঠো ভাত’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘এখনই সময়’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘পেনশন’, ‘দহন’, ‘চণ্ডীদাস ও রজকিনী’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিন কন্যা’, ‘মিস লংকা’, ‘জীবন পরীক্ষা’, ‘জীবন সংসার’ ও ‘লাইলি মজনু’।
Bình luận