মি. মোদী বলেন, “বিগত চার দশকে ভারত নির্মম সন্ত্রাসবাদের আক্রমণ সহ্য করছে। কত মা তার সন্তানকে হারিয়েছেন, কত শিশু অনাথ হয়েছে। সম্প্রতি আমরা সন্ত্রাসবাদের ঘৃণ্য রূপ দেখেছি পহেলগামে। ওই শোকের সময়ে যে মিত্র দেশগুলি আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
“ওই হামলা শুধু যে ভারতের অন্তরাত্মার ওপরে আঘাত করেছে, তা নয়, মানবতায় বিশ্বাস করে – এমন প্রতিটি দেশ, প্রত্যেক মানুষের প্রতি একটা উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ ছিল। এই প্রসঙ্গেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে কিছু দেশ যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে খোলাখুলি সমর্থন করছে, তা কি মেনে নেওয়া যায়?” প্রশ্ন তোলেন মি. মোদী।
তার ভাষণে মি. মোদী বলেন, “এসসিও নিয়ে ভারতের চিন্তাভাবনা এবং নীতিমালা তিনটি মূল স্তম্ভের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। এসসিও-র অর্থ সিকিওরিটি বা নিরাপত্তা, কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অপরচুনিটি অর্থাৎ সুযোগ।“
এর আগে, সোমবারই তিয়ানজিন শহরে সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে উদ্বোধনী ভাষণে চীনা প্রেসিডেন্ট সদস্য দেশগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তারা নিজেদের এই ‘অতিবৃহৎ বাজার’-এর সুবিধা নেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে কীভাবে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ও অর্থনীতির নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব, সে ব্যাপারে নিজের উচ্চাশা ব্যক্ত করেন মি. জিনপিং।
তিনি এ-ও ঘোষণা করেছেন, এবছর চীন এসসিও সদস্য দেশগুলিকে দুশো কোটি ইউয়ান বা ২৮ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ বিশ্বের ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার-প্রধানরা দুদিনের এই সম্মেলন যোগ দিয়েছেন।