যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গন্তব্য ওয়াশিংটন, উদ্দেশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে গাজায় চলমান যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি। ট্রাম্প ইতোমধ্যে কয়েকবার জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে উঠে এসেছে আরও কড়াকড়ির ইঙ্গিত—গাজায় হামাসের অস্তিত্বকে ঘিরে আপসের কোনো সুযোগ রাখছেন না তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস ক্ষমতায় থাকবে এমন কোনো চুক্তিতে তারা সম্মত হবেন না। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা এমন কোনো পরিস্থিতি হতে দেব না যেটি কিডন্যাপার ও হত্যাকারীদের উদ্বুদ্ধ করে। যার অর্থ হামাসের সামরিক সক্ষমতা শেষ করা। হামাস গাজায় থাকবে না।’
একজন সাংবাদিক জানতে চান, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কি জিম্মি মুক্তি চুক্তি হতে পারে? উত্তরে নেতানিয়াহু—যিনি সচরাচর প্রশ্নের উত্তর দেন না—পেছনে ঘুরে বলেন, ‘আমরা সেই চুক্তি করার জন্য কাজ করছি, তবে আমাদের শর্তেই।’
নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইসরায়েল সামনে এমন কিছু দেশের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করবে যা কেউ কল্পনা করেনি। সম্প্রতি সিরিয়া, লেবানন এমনকি সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা উঠেছে। তবে সৌদি জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়, এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো গাজার যুদ্ধবিরতির চুক্তি।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
