'ওয়ান মার্ডার টেন রুপিস, ওয়ান হাফ মার্ডার ফাইভ রুপিস'

Yorumlar · 15 Görüntüler

(এই প্রতিবেদনে দাঙ্গার কিছু বর্ণনা পাঠকের অস্বস্তির কারণ হতে পারে)

"ওয়ান মার্ডার টেন রুপিস, ওয়ান হাফ মার্

১৯৯৭ সালে বিবিসিকে তিনি ওই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন।

 

উত্তর-পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটা অঞ্চলের নামকরা 'মাসলম্যান' ছিলেন মি. ঘোষ।ব্যবসায়ীদের কারও কাছ থেকে এক হাজার, কারও কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা তুলেছেন তিনি, দাঙ্গার সময়ে আবার সেই টাকাই খরচ হত মার্ডার বা হাফ মার্ডার, অর্থাৎ খুন আর গুরুতর আহত করার দাম হিসেবে।এক বছরেরও কম সময়ে তিনি সম্পূর্ণ পাল্টে যেন অন্য মানুষ হয়ে যান, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে পুরোপুরি গান্ধীবাদী হয়ে গিয়েছিলেন যুগল চন্দ্র ঘোষ।

 

তবে তার মতো 'হাফ মার্ডার' নয়, মুসলমান দাঙ্গাকারীদের পুরো 'খতম' করারই নির্দেশ দিয়েছিলেন ৪৬-এর দাঙ্গার সময়ে আরেক পরিচিত নাম 'গোপাল পাঁঠা', যার আসল নাম ছিল গোপাল মুখার্জী।

 

আজকের মধ্য কলকাতার যেখানে সুবোধ মল্লিক স্কয়ার, সেই ওয়েলিংটন স্কয়ার বা কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজার সেইসব এলাকায় তার নিজস্ব বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন কলকাতা পুলিশের খাতায় 'ফেরোশাস', 'ক্রিমিনাল' হিসেবে চিহ্নিত গোপাল পাঁঠা।

 

"আমার ছেলেরা কত যে মেরেছে, তার হিসাব নেই," বিবিসিকে বলেছিলেন গোপাল পাঁঠা। তবে তার ছেলেদের ওপরে কড়া নির্দেশ ছিল যে মুসলমান নারীদের বা সাধারণ মুসলমান মানুষের গায়ে যেন হাত না পড়ে।

 

যুগল চন্দ্র ঘোষের মতো অবশ্য মি. গান্ধীর কাছে দাঙ্গায় ব্যবহৃত অস্ত্র সমর্পণ করেননি গোপাল পাঁঠা বা গোপাল চন্দ্র মুখার্জী।

 

ঘটনাচক্রে এরা দুজনের কেউই কিন্তু হিন্দু মহাসভা বা অন্য কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, বরং কংগ্রেস নেতাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন দুজনেই।

 

যদিও গোপাল মুখার্জী দাবি করেছিলেন, "আমি ডাক্তার বিসি রায়ের (বিধান চন্দ্র রায়) ঘনিষ্ঠ ছিলাম। আমি কোনও পার্টির নই। আমি মানুষকে সাহায্য করি। আমি কোনও পার্টি করি না।"

Yorumlar