ভোটকেন্দ্রের প্রবেশমুখে জটলা, লিফলেট বিতরণ, ভোটারদের ভোগান্তি

הערות · 20 צפיות

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের প্রবেশমুখে প্রার্থী ও তাঁর

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও এসএম হল অংশের ভোটকেন্দ্রে এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে ডাকসু ও হল সংসদের প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ করছেন। অনেকে ব্যাগে করে লিফলেট এনেছেন। অনেকে লিফলেটের বক্স নিয়ে কেন্দ্রের সামনে অবস্থান করছেন।

ভোটাররা কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে সবার হাতে একক প্রার্থী বা পুরো প্যানেলের প্রার্থীদের নাম-ব্যালট নম্বরসহ লিফলেট ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে এই লিফলেটসহ ভোটারদের কেন্দ্রের ভেতর ঢুকতে দেখা গেছে। এ কারণে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির পাশাপাশি কৃত্রিম জটেরও সৃষ্টি হতে দেখা যায়।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধির ১৫ ধারা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ভোটার নির্বাচনের দিন ভোটার স্লিপ প্রদান করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ভোটার স্লিপ বিতরণ করা যাবে না। তা ছাড়া ৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সব ধরনের প্রচার নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে তা মানছেন না অনেক প্রার্থী ও তাঁর অনুসারীরা। তাঁরা একক ও পুরো প্যানেলের প্রার্থীর লিফলেট দিচ্ছেন ভোটারদের।

সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানান ডাকসুর মানবসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী (স্বতন্ত্র) এ বি জোবায়ের। তখন তাঁর দিকে তেড়ে আসেন বেশ কয়েকজন। তাঁরা ‘ভুয়া’ ভুয়া বলে স্লোগান দিয়ে জোবায়েরকে তাড়িয়ে দেন।

এই কেন্দ্রে পর্যবেক্ষক হিসেবে সকাল সাড়ে নয়টার কিছু আগে পরিদর্শনে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তিনি জটলা দেখে প্রতিবাদ জানান। শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া সহজ করতে জটলা না পাকানোর অনুরোধ করেন।

কৃত্রিম জটলার বিষয়ে জানতে চাইলে সকাল ১০টার দিকে এই ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সরাসরি সেখানে গিয়ে তেমন কোনো চিত্র দেখা যায়নি। এরপরও এমন অভিযোগ এলে পুলিশ নিয়ে গিয়ে সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি।’

הערות