সকালের অভ্যাসেই লুকিয়ে আছে সুস্বাস্থ্য

Mga komento · 10 Mga view

সকাল থেকেই দিনের ছন্দ ঠিক হয়ে যায়—এমনটাই বলে থাকেন অনেকেই। অর্থাৎ, আপনি যেভাবে দিন শুরু করবেন, সেভাবেই কাটবে স

সকাল থেকেই দিনের ছন্দ ঠিক হয়ে যায়—এমনটাই বলে থাকেন অনেকেই। অর্থাৎ, আপনি যেভাবে দিন শুরু করবেন, সেভাবেই কাটবে সারাদিন।

আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু রুটিন থাকে। কেউ সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে ভালোবাসেন, আবার কেউ তাড়াতাড়ি উঠে মর্নিং ওয়াক বা শরীরচর্চা করে নেন। তবে সকালে দেরি করে উঠলে সারাদিনের কাজেই দেরি জমে যায়। অলসতা কাটাতে কাজ থাকুক বা না থাকুক, অভ্যাস করুন সকাল সকাল জেগে ওঠার। এতে সারাদিন সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকা যায়।

আজকাল ঘুম ভাঙতেই সবার আগে চোখ যায় মোবাইলের দিকে। নোটিফিকেশন, মেসেজ বা সোশ্যাল মিডিয়া—এসব দিয়ে দিন শুরু করলে চোখ ও মস্তিষ্ক দুটোই অযথা চাপে পড়ে। ফলে মাথাব্যথা ও কর্মক্ষমতা কমার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই বরং ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক গ্লাস পানি খান। জানালার পাশে বা বারান্দায় বসে খানিকটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। অন্তত দুই ঘণ্টা নিজেকে দিন—সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থেকে শরীরচর্চা করুন, চা বা কফি উপভোগ করুন, বই বা পত্রিকা পড়ুন।

সকালের নাশতা বাদ দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। অনেকে দেরি করে উঠে শুধু চা বা কফি খেয়ে দুপুর পর্যন্ত কাটিয়ে দেন। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই শরীরচর্চার পর অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট করুন।

দিনটিকে গুছিয়ে তুলতে আগের রাতেই কাজের পরিকল্পনা করে রাখুন। সকালে উঠে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করলে সময় বাঁচবে, মনোযোগও বাড়বে। দিনের শুরুতে গোসল করে নিলে শরীর-মন দুটোই সতেজ থাকে এবং হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকলে কর্মক্ষমতা ও এনার্জি অনেকটাই বেড়ে যায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে ঘুম থেকে উঠবেন না। বরং ইতিবাচক কিছু ভাবুন, নিজেকে উৎসাহ দিন। জীবনের ভালো দিকগুলোর জন্য নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করুন এবং যারা আপনার জীবনের সঙ্গী, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

Mga komento