ছাত্রশিবিরের অভাবনীয় জয় যেসব কারণে

মন্তব্য · 7 ভিউ

ফল ঘোষণার সময় সিনেট ভবনে উল্লসিত ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ ও মুহা. মহিউদ্দীন খান (বাঁ থেকে)। তাঁরা ভ

ক্লিন ইমেজ’-এর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্র সংসদ ও ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। সুসংগঠিতভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রশিবিরের দলীয় কর্মসূচি ও শিক্ষার্থীবান্ধব নানা কর্মকাণ্ড পৌঁছে দেওয়ায় এ অভাবনীয় জয় হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক ও ডাকসুর এক সাবেক জিএস। তাঁদের মতে, ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সংগঠিত ছিল না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের কাছে তারা কর্মপরিকল্পনা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারেনি। শিবিরের প্রার্থীদের তুলনায় ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বাম সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারেনি।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু ত্রুটিবিচ্যুতিবাদে এবারের ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদের নির্বাচন মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। যদিও ছাত্রদল, বাগছাস, ছাত্র ইউনিয়ন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটের ফলাফল প্রত্যাখান করেছে।’

 

 

 

হল ছাত্র সংসদ ও ডাকসু নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম ছাত্রশিবির ভিপি, জিএস, এজিএসসহ বেশির ভাগ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা এর আগে হল সংসদ ও ডাকসু নির্বাচনে এমন কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেননি।

 

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘ছাত্রশিবির একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন। এই সংগঠনের ছেলে-মেয়েরা ক্যাডারভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি করে, এটাই তাদের ঐতিহ্য।’

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্গানাইজডভাবে ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনটি জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম সারির দুই নেতাকে ডাকসুর ভিপি ও জিএস প্রার্থী করেছে। তারা প্রতিটি হল, ফ্যাকাল্টি ও ক্যাম্পাসের আশপাশের ছাত্রাবাসগুলোতে জনসংযোগ করেছে। ছাত্রশিবিরের এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় এক বছরের। এই সময়ে তারা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে পজিটিভ ইমেজ নিয়ে গেছে।

মন্তব্য
অনুসন্ধান করুন