ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়ী হয়ে নতুন নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এবারের নির্বাচনে ভিপি; জিএস; মুক্তিযোদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন; কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া পদসহ বিভিন্ন পদে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।
ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার আবু সাদিক কায়েম, যিনি ১৪,০৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ, নিরাপত্তা এবং সুযোগ–সুবিধা আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত হবে। জিএস হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন লোহাগাড়ার এসএম ফরহাদ। যিনি ১০,৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী সচেতন মহল।
মুক্তিযোদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিভাগের বিজয়ী মহেশখালীর মেয়ে ফাতেমা তাসনিম জুমা। তিনি ১০,৬৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সক্রিয় গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও স্বাধীন চিন্তার উন্মেষ ঘটাতে কাজ করবেন তিনি। কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিভাগের বিজয়ী সাতকানিয়ার উম্মে ছালমা। তিনি ৯,৯২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন, অধ্যয়ন ও বিশ্রামের পরিবেশ উন্নয়নে মনোনিবেশ করবেন।
এছাড়া বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন রাঙামাটির সর্বমিত্র চাকমা, সাতকানিয়ার রায়হান উদ্দিন এবং খাগড়াছড়ির হেমা চাকমা। এছাড়াও ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন হলে ভিপি জিএসসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের অনেক প্রার্থী।
হেমা চাকমার জয়ে খাগড়াছড়িতে উচ্ছ্বাস : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ী হয়েছে নতুন ইতিহাস গড়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের মেয়ে হেমা চাকমা। পাহাড়ি নারী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এই প্রথম কেউ ডাকসুর সদস্য নির্বাচিত হল। বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর একাংশের জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে সদস্য পদে লড়েন হেমা চাকমা। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৯০৮ ভোট।
হেমা খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ২ নম্বর চেঙ্গী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা ও মিনতি চাকমার মেয়ে। এ দম্পতির এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে হেমা ছোটজন।
জানা যায়, হেমার শিক্ষা জীবন শুরু হয় পুজগাং বনশ্রী শিশু বিদ্যানিকেতনে। ২০১৮ সালে পুজগাং মুখ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
