ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা

Comentarios · 16 Puntos de vista

আধঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে পরে এক ঘণ্টা থাকে না, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত অবধি বিদ্য

আধঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে পরে এক ঘণ্টা থাকে না, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত অবধি বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ার খেলায় চরম ভোগান্তিতে সিলেটবাসী।

 

 

Advertisement

 

সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ ভয়াবহ পরিস্থিতি চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবারও অব্যাহত ছিল। এতে জনজীবনের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যও নেমে এসেছে চরম অচলাবস্থায়।

 

 

তীব্র গরমের মধ্যে দিনে-রাতে বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

 

 

নগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার এই চক্রে ঘুম, কাজ, পড়াশোনা-সবকিছুই ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও ঠিকমতো তোলা যাচ্ছে না, ফলে নিত্যদিনের কাজেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি।

 

 

শাহী ঈদগাহ এলাকার গৃহবধূ ফাহমিদা লিলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ঘরের সবকিছুই বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। রান্না, কাপড় ধোয়া, ফ্রিজে খাবার রাখা-কিছুই ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। অফিসের পর বাড়িতে এসে আরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

 

মিরাবাজারের তরুণ ফ্রিল্যান্সার মোনায়েম খান বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আমার সংসার চলে। বিদ্যুৎ না থাকায় নেটওয়ার্কের সংযোগও ভেঙে যায়। নির্ধারিত সময়ের কাজ ডেলিভারি দিতে না পেরে বিদেশি ক্লায়েন্টের কাছে বিব্রত হতে হচ্ছে। এর একটা স্থায়ী সমাধান এখনই জরুরি।

 

 

লোডশেডিংয়ের সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে ব্যবসায়ীদের ওপর। মেজরটিলা এলাকার ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ মালিক আবজালুর রহমান জানান, অনেকগুলো অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারছি না। বিদ্যুৎ না থাকায় মেশিন বন্ধ থাকে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে।

 

 

নগরীর চৌকিদেখি এলাকার প্রিন্ট-ফটোকপি দোকান মালিক মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন আধঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে এক ঘণ্টা থাকে না। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। দোকান খোলা রাখলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। চারদিন ধরে ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ।

 

 

সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মুহিত বলেন, বিদ্যুতের ভোগান্তি আগে থেকেই ছিল, তবে গত কয়েকদিনে মাত্রা ছাড়িয়েছে। বিশেষ করে গরমে শিশুরা কান্নাকাটি করছে। এভাবে আর কতদিন চলবে, বলা মুশকিল।

Comentarios