ডাকসুতে পরাজয় ও জাকসু বর্জনের পর ছাত্রদলকে যে পরামর্শ দিলেন মির্জা গালিব

Kommentarer · 17 Visningar

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জন করছে ছাত্রদল। বর্জন না করে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জন করছে ছাত্রদল। বর্জন না করেও ভিন্ন কিছু করা যেত বলে মনে করেন ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। তিনি বলেন, তিনি যদি দলটির পরামর্শক হতেন, তাহলে পরাজয় নিশ্চিত হলেও তাদেরকে সারা দিন হাসিমুখে পিআর ক্যাম্পেইন করে যেতে বলতেন।

 

Advertisement

 

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। এর আগে সকাল থেকে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

 

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদের মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদসহ ২৩টি পদ জিতেছে তারা।

 

ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন মোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন এবং উমামা ফাতেমা যথাক্রমে ৩ হাজার ৮৮৪ এবং ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়েছেন।

 

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, পরিকল্পিত কারচুপির এ ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এ পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।

 

ছাত্রদল জাকসু নির্বাচন বর্জনের পর আজ বিকালে পোস্ট দেন মির্জা গালিব। তিনি লেখেন, আমি যদি ছাত্রদলের অ্যাডভাইজার হতাম, তাহলে বলতাম পরাজয় নিশ্চিত হলেও সারাদিন হাসিমুখে পিআর ক্যাম্পেইন করে যেতে। যাতে করে ফলাফলের পর মানুষের মনে দুঃখ লাগে, আহারে ছেলেগুলো কত কষ্ট করল, কিন্তু জিততে পারল না। ওই খারাপ লাগার অনুভূতিটুকু পরের নির্বাচনে কাজে লাগত।

Kommentarer