ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-ছাত্রদল লোক জড়ো করেছিল কেন?

মন্তব্য · 23 ভিউ

দুই দিনের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ – ডাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যা

বিশেষ করে জাকসু নির্বাচন শেষ হবার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর এক প্রার্থীর উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়েও হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

 

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নির্বাচনে দুইটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অবস্থান নেয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকি পাল্টাপাল্টি এমন অবস্থানকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের শঙ্কাও ছিল শিক্ষার্থীদের মাঝে।

 

ছাত্রদল ও শিবির – দুই সংগঠনের নেতারাই একে অন্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন। যদিও নেতাকর্মীদের অবস্থানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রদল সভাপতি।

 

অন্যদিকে শিবির সভাপতি জানিয়েছেন, 'পলিটিক্যাল গ্রাউন্ড' থেকে উৎসুক জনতার সাথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছিল।

 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতা প্রদর্শনের জায়গা থেকে এই 'শোডাউন' করা হয়।গত ৯ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেদিন দুপুরের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা পয়েন্টে থাকা প্রবেশমুখে অবস্থান নিতে থাকেন জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

 

তাদেরকে দিতে শোনা যায় নানা ধরনের দলীয় স্লোগানও। এদিকে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা।

 

সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে দুই দলের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

 

যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন শেষ হয় এবং ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

 

তবে প্রবেশপথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিয়ে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসলে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।

 

অনেকটা একই দৃশ্য দেখা যায় দুইদিন পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ – জাকসু নির্বাচনেও।

 

নির্বাচনের আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের দেখা হবার কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা।

 

পরদিন নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ তোলে কয়েকটি প্যানেল। বিকেলের পর থেকে ডাকসু নির্বাচনের মতো একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নিতে দেখা যায় জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের।

 

এরমধ্যে মূল ফটকের বাইরে চায়ের দোকানগুলোতে অবস্থান নেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা, আর পেছনের দিকের ফটকের বাইরে অবস্থান নেন বিএনপি-ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা।

 

দিনব্যাপী ছড়ায় সংঘাত-সংঘর্ষের আতঙ্ক, উদ্বেগ তৈরি হবার কথা জানান শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য
অনুসন্ধান করুন