এই ভূমিকম্পের প্রভাব কী বাংলাদেশের ওপর, বাংলাদেশের শঙ্কার জায়গাগুলো কোথায়, ঢাকায় এবার কি ভূমিকম্পের সময় বেশি ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে, রাজধানীর কোন এলাকায় কম্পন কতটা অনুভূত হয়, এর কারণই–বা কী—এসব নানা বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতার। আজ হওয়া ভূমিকম্প নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো:
আজকে কিছুক্ষণ আগে যে ভূমিকম্পটা হলো, সেটা বাংলাদেশ সময় ৫টা ১১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে সংঘটিত হয়। যেখানে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়েছে, সেটা ঢাকা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের আসাম রাজ্যের আসাম ভ্যালিতে অবস্থিত। ওই এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ প্রবাহিত হচ্ছে, তার একটু উত্তরেই এই উৎপত্তিস্থল। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের কাছাকাছি এবং হিমালয়ান ফ্রন্টাল থ্রাস্টের মধ্যে পড়েছে। হিমালয়ান ফ্রন্টাল থ্রাস্ট (এইচএফটি) আবার মেইন ফ্রন্টাল থ্রাস্ট (এমএফটি) নামেও পরিচিত। এটি হিমালয়ের সম্মুখভাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূতাত্ত্বিক ফল্ট বা ভাঙনরেখা, যা হিমালয়ের পাদদেশ ও ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমির সীমানা নির্দেশ করে। এখানে ইন্ডিয়ান প্লেট হিমালয়ের নিচে অর্থাৎ এশিয়া প্লেটের নিচে যেখানে তলিয়ে যাচ্ছে, সেই অংশে ভারতীয় প্লেটের মধ্যে এবারের ভূমিকম্প সংঘটিত হলো। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯। এর গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার।