উচ্ছৃঙ্খল ইসরাইলকে রুখতে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ জরুরি

Comentarios · 13 Puntos de vista

ইসরাইল বারবার প্রমাণ করেছে, তাদের কোনো কাজের সঙ্গেই আন্তর্জাতিক আইন বা মানবতার ন্যূনতম শিষ্টাচারের সম্পর্ক ?

ইসরাইল বারবার প্রমাণ করেছে, তাদের কোনো কাজের সঙ্গেই আন্তর্জাতিক আইন বা মানবতার ন্যূনতম শিষ্টাচারের সম্পর্ক নেই। আঞ্চলিক আধিপত্যই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির পাশাপাশি দোহায় সাম্প্রতিক হামলা প্রমাণ করেছে- এই আগ্রাসন কেবল ফিলিস্তিন নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। কোনো অন্য রাষ্ট্র যদি এক সপ্তাহে ছয় দেশে হামলা চালাতো, তবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিচারিতা ইসরাইলকে সেই দায় থেকে রক্ষা করছে, যা লজ্জাজনক।

 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানি গণমাধ্যম সামা টিভির সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে।

 

এতে বলা হয়েছে, গাজাকে গত দুই বছরে যেভাবে ইসরাইলি বাহিনী একটি গণহত্যার মাঠে পরিণত করেছে, তা অমানবিক ও ঘৃণ্য। সিরিয়া ও পশ্চিম তীরে ক্রস-বর্ডার হামলা ও ভূমি দখল আজ তাদের প্রকাশ্য নীতি। সম্প্রতি দারা প্রদেশে স্থল অভিযান এবং গোলান মালভূমিতে লেবানন ফ্যাসিলিটি চালু করাও আগ্রাসনেরই অংশ। কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলো কেবল দোহায় হামলার পর। এরই মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আব্রাহাম চুক্তি ছিন্ন করার কথা বলছে, তুরস্ক আকাশপথ ও সমুদ্রবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইলের জন্য। যদিও এসব পদক্ষেপ ইতিবাচক, তবে যথেষ্ট নয়। 

 

যেহেতু বিশ্বশক্তিগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অবস্থান নেবে বলে মনে হচ্ছে না, তাই মুসলিম দেশগুলোকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ৫৭ রাষ্ট্রের সংগঠন ওআইসি একটি অপ্রয়োগিত শক্তি, যা প্রয়োগ করার এখনই সময়। দোহায় অনুষ্ঠিতব্য জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলন এই ঐক্যকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

Comentarios