গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ দেশীয় কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতাও বাড়ানো দরকার

Kommentarer · 2 Visninger

দেশজ গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তীব্র গ্যাস সংক?

দেশজ গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তীব্র গ্যাস সংকট মোকাবিলায় এবং ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে ভোলা অঞ্চলে পাঁচটি কূপসহ মোট ২০টি কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমে চারটি মূল্যায়ন এবং একটি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসাবে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বাপেক্সের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা খরচ করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। একনেকে অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে শুরু হয়ে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

 

দেশে গ্যাস সংকটের প্রভাব পড়ছে প্রায় সর্বত্র। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের উল্লেখযোগ্য অংশ সরবরাহ করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এছাড়া সার কারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, গৃহস্থালি (আবাসিক), সিএনজি এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এ কারণে গ্যাস খাতকে দেওয়া উচিত সর্বোচ্চ গুরুত্ব। দেশে দীর্ঘদিন ধরে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও আবিষ্কারে ত্রিমাত্রিক জরিপ সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয়সংখ্যক কূপ খনন করা হলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। নতুন গ্যাসক্ষেত্রের অনুসন্ধান বা নতুন কূপ খননের ব্যয়বহুল কার্যক্রমের পাশাপাশি পুরোনো কূপ খননেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুরোনো পরিত্যক্ত কূপেও গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। উল্লেখ্য, নতুন কূপ খনন করে গ্যাস উত্তোলনের তুলনায় পুরোনো কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনে সময় ও ব্যয় উভয়ই কম লাগে। জানা যায়, দেশীয় কোম্পানির আওতায় থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলোর বেশির ভাগই ষাটের দশকের। পুরোনো এ গ্যাসক্ষেত্রগুলোয় নতুন করে কম্প্রেসার না বসানোর ফলে উৎপাদন কমে গেছে। তবে বিদেশি কোম্পানিগুলোর আওতায় থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলোয় সময়মতো কম্প্রেসার বসানোর ফলে তারা উৎপাদন যথাযথ মাত্রায় ধরে রাখতে পেরেছে। তাই দেশীয় কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। সেই সঙ্গে গ্যাসের অপচয় রোধেও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

Kommentarer