শিক্ষা আন্দোলনের চেতনা বনাম রাষ্ট্রের নীরবতা

Comments · 1 Views

সেপ্টেম্বর ছিল ‘শিক্ষা দিবস’। যে শিক্ষা আন্দোলন থেকে শিক্ষা দিবসের সূচনা, সেই আন্দোলনের চেতনা নিয়ে রাষ্ট্র ক

১৭ সেপ্টেম্বর ছিল ‘শিক্ষা দিবস’। যে শিক্ষা আন্দোলন থেকে শিক্ষা দিবসের সূচনা, সেই আন্দোলনের চেতনা নিয়ে রাষ্ট্র কেন নীরব—এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন সৌমিত জয়দ্বীপ

 

সৌমিত জয়দ্বীপ

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৭

ফলো করুন

১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

 

১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলছবি: সংগৃহীত

পূর্ববঙ্গের ভাষা আন্দোলনের ওপর দাঁড়িয়ে ইতিহাস আমাদের প্রভূত জাতীয়তাবাদী শক্তি দিয়েছে। ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুরোনো ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের’ নতুন মোড়ক জন্ম দিয়েছিলেন পূর্ববঙ্গের মানুষ, যা তাঁরা ১৯০৫-১৯১১ সাল পর্যন্ত গ্রহণ করেননি; কিন্তু ১৯৪৮ সালের পর সেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে গ্রাহ্য করা জরুরি ছিল।

 

বাঙালি জাতীয়তাবাদ হয়ে উঠল পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক ও সাম্প্রদায়িক ‘ডমিনেন্ট হেজিমনি’র বিপরীতে নিপীড়িত জাতিসত্তার কণ্ঠস্বর। এই প্রভাব বাংলাদেশকে জাতিরাষ্ট্র হিসেবে জন্ম দিলেও ভাষা আন্দোলন আমাদের পাঠ্যপুস্তকীয় ইতিহাসে শুধু ‘বায়ান্ন’ ও ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’তে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। এটা রাষ্ট্রই সুচারুভাবে গড়ে তুলেছে। কেননা, এতে তার তথাকথিত উদারবাদী রাজনীতির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সহজ হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত করা যায় প্রতিরোধের রাজনীতিকে।

 

রাষ্ট্রের এই রাজনীতির সবচেয়ে বড় বলি হয়েছে ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন, মুখ্যত বায়ান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারিকে যে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়েছে এ রাষ্ট্রে, শিক্ষা আন্দোলন প্রসঙ্গে তার সিকিভাগ বিদ্যায়তনিক মনোযোগও দেওয়া হয়নি। অথচ ভিন্ন আলাপ তুললে ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন মূলত ভাষা আন্দোলনের যে প্রতিরোধ, সেটিরই একটি পরিবর্ধিত রূপ এবং প্রাথমিক পূর্ণতার জন্মদাতা।

Comments