দাবি নিষ্পত্তিতে বিমা কোম্পানির গড়িমসি, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টাকে বিটিএমএর চিঠি

Comentarios · 21 Puntos de vista

গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে টেক্সটাইল মিল দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমা ??

গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে টেক্সটাইল মিল দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমা কোম্পানিগুলো এসব কারখানার দাবি নিষ্পত্তিতে গড়িমসি করছে। পদ্ধতিগত জটিলতা ও পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছে কোম্পানিগুলো। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে।

 

Advertisement

 

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশব্যাপী সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে অনেক টেক্সটাইল মিলের কারখানা, গুদাম এবং অন্যান্য স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। আকস্মিক এই সহিংসতার ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে এবং উদ্যোক্তারা বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই অপ্রত্যাশিত ক্ষতি মোকাবিলার জন্য প্রায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানই যথাযথ প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অগ্নি এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির বিপরীতে বিমা পলিসি গ্রহণ করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত ঘটনার পর বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিমা দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

 

এতে আরও বলা হয়, বিমা কোম্পানিগুলো নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতা এবং পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা করে দাবি পরিশোধে বিলম্ব করছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা-সংক্রান্ত ক্ষতির অজুহাতে দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা বিমা শিল্পের মূলনীতির পরিপন্থি। বিমা শিল্পের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা বা হস্তক্ষেপ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প মালিকরা চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। এই অচলাবস্থার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো পুনরায় উৎপাদন শুরু করতে সমস্যার সম্মুখীন। ফলে হাজারো শ্রমিক তাদের কর্মসংস্থান হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। এটি কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সংকট নয় বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি, বিশেষ করে পোশাক রপ্তানি খাতের সাপ্লাই চেইনের ওপর মারাত্মক আঘাত।

 

গত ৩ মার্চ সাধারণ বিমা করপোরেশনে পুনঃবিমা মহাব্যবস্থাপকের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, জুলাই-আগস্টের সব ঘটনা পপুলার রাইজিং বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান হলেও অগ্নি ও শিল্প ঝুঁকির পলিসির আওতায় কাভারেজ থাকা সত্ত্বেও কোনো বিমাদাবি পরিশোধযোগ্য হবে না। এ সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নেওয়া হয়েছে এবং এটি দেশের শিল্প ও অর্থনীতির স্বার্থবিরোধী। কারণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আয়োজিত সভায় সংশ্লিষ্ট অংশীজন বিশেষত বিমা ও বাণিজ্য সংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

Comentarios