'অবৈধ বাংলাদেশি' বলে হেনস্থা, বিপাকে পশ্চিমবঙ্গের অনেক গ্রামের বাসিন্দারা

הערות · 23 צפיות

পশ্চিমবঙ্গের মালদা আর মুর্শিদাবাদ, জেলা-দুটির অর্থনীতির অন্যতম মূল ভিত্তি হলো এখানকার পরিযায়ী শ্রমিকদের প??

ওই দুই জেলা ঘুরে এসে এই প্রতিবেদন:

 

ভর দুপুরে কাঁধে একটা কোদাল নিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ধানক্ষেতের মাঝ বরাবর আল পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল হক।

 

মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরে তার গ্রামে নিজের জমি জায়গা বিশেষ নেই – তিনি চলেছিলেন বাবার ক্ষেতে কোনও কাজে। চাষ আবাদ অবশ্য তার পেশা নয়।তখনই একটা যাত্রী ট্রেন হুইসল বাজিয়ে ছেড়ে চলে গেল পাশের মিলনগড় স্টেশন থেকে। ওই রেললাইনটা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ আর বিহারের সঙ্গে অন্যতম মূল রেল লাইন।ওরকমই ট্রেনে তো তিনি সেই ছোটবেলা থেকেই যাতায়াত করতেন – হরিশচন্দ্রপুরের মিলনগড় থেকে সুদূর ওড়িশা পর্যন্ত। সেখানকার গ্রামে গ্রামে প্লাস্টিকের ঘর-সংসারের জিনিষ, খেলনা – এসব বেচতেন এরা, কয়েক মাস আগে পর্যন্তও।

 

"ছোট থেকে আমি বাইরে ওড়িশাতেই থাকি। আগে বাবারা, চাচারা করছিল, এখন বাবার বয়স হয়ে গেছে, তাই আর যাচ্ছে না, আমরা কাজ করি। আমি ওখানেই প্লাস্টিকের জিনিস ফেরি করি।" বলছিলেন মি. হক।

 

তিনি বলছিলেন, "এর আগে আমরা কাজ করেছি, এরকম আক্রমণ তো হয় নি, বা এরকম সমস্যায় পড়ি নি। এই যখন থেকে বিজেপি ওখানে সরকারে এসেছে, তারপর থেকেই আমাদের ওপরে অত্যাচার হচ্ছে। আমাদের মারধর করল, জেলে আটকিয়ে রাখল, তারপর বাড়ি ফিরে এলাম। এখানে তো কোনও কাজ-কাম নেই, কী করব! বাবার কিছু আর আমার কিছু জমি জায়গা আছে, সেখানেই কাজ করছি এখন।"

 

মি. হকদের মতো পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশায় যাওয়া কয়েকজন পরিযায়ী ব্যবসায়ীকে কী বীভৎসভাবে মারধর করা হয়েছে, আটক রাখা হয়েছিল, সেই সংবাদ আগেই প্রচার করেছে বিবিসি বাংলা।

 

সেখানকার স্থানীয়রা যেভাবে মারধর করেছেন এই পরিযায়ীদের, তার কয়েকটি ছবি বিবিসি দেখেছে। তবে ওই বর্ণনা পাঠকদের অস্বস্তির কারণ হতে পারে, তাই তা থেকে আমরা নিজেদের বিরত রাখলাম।

הערות