দেশটিতে এর আগেকার পর পর তিনটি নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে, এমনকি ভারতের সমর্থনেই শেখ হাসিনা সরকার তিনটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে উতরে যেতে পেরেছে – এমন অভিযোগও আছে।
কিন্তু এবারে বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে ভারতের মনোভাব এখন কী হতে পারে? বা আরও স্পষ্ট করে বললে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থে ঠিক কী হওয়া উচিত?
বস্তুত গত এক বছরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার বলেছে, তারা চায় বাংলাদেশে 'যত দ্রুত সম্ভব' একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক – এবং সেই নির্বাচন হোক 'গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক'।তবে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে – এবং পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে তাদের 'নৌকা' প্রতীকে লড়তে পারবে, এমন কোনো সম্ভাবনাই এ মুহুর্তে দেখা যাচ্ছে না।কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-বিহীন কোনও নির্বাচনকে ভারত অন্তর্ভুক্তিমূলক মনে করবে কি না সে বিষয়ে এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে।
এর পাশাপাশি ভারতের অ্যাকাডেমিক মহলে, থিংকট্যাংক সার্কিটে বা বৃহত্তর সিভিল সোসাইটিতেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত – আর সেখানেও উঠে আসছে নানা ধরনের মতামত।
এ সবকিছুই এমন এক সময়ে ঘটছে যখন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দলের শীর্ষ নেতাদের একটি বড় অংশ ভারতে অবস্থান করছেন।