ভারতের জন্য আকাশসীমা নিষিদ্ধের মেয়াদ বাড়াল পাকিস্তান

Comentários · 3 Visualizações

ভারতীয় সব ধরনের বিমান ও সামরিক উড়োজাহাজের জন্য পাকিস্তান তার আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধের মেয়াদ আবারও এক মাস ব

ভারতীয় সব ধরনের বিমান ও সামরিক উড়োজাহাজের জন্য পাকিস্তান তার আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধের মেয়াদ আবারও এক মাস বাড়িয়েছে। শুক্রবার পাকিস্তান এয়ারপোর্টস অথরিটি (পিএএ) নতুন একটি নোটিশে এ ঘোষণা দেয়।

Advertisement

এর ফলে ভারতের কোনো বাণিজ্যিক এয়ারলাইন, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বা সামরিক বিমান আগামী এক মাস পাকিস্তানের আকাশসীমা অতিক্রম করতে পারবে না। সর্বশেষ এ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর মাধ্যমে মোট ২১০ দিন ধরে ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকছে।

ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনার পরই নয়াদিল্লি সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়, যা দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলে আসা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।

ভারতও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ৩০ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানি উড়োজাহাজের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। ফলে দুই দেশের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ ও ৭ মে ভারত পাকিস্তানের একাধিক শহরে অকারণ হামলা চালায়। পাকিস্তান এর জবাবে শুরু করে বড় ধরনের সামরিক অভিযান, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস’। পাকিস্তান দাবি করে, তাদের হামলায় ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়।

একইসঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান (এর মধ্যে তিনটি রাফাল) এবং ডজনখানেক ড্রোন ভূপাতিত করে। টানা ৮৭ ঘণ্টা ধরে দুই দেশের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতি হয়।

আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতের বিমান পরিবহন খাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। দীর্ঘপথ ঘুরে ফ্লাইট পরিচালনা করায় সময় ও খরচ দুটোই বেড়েছে। আন্তর্জাতিক রুটেও ভারতের যাত্রী পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অপরদিকে পাকিস্তানি বিমান চলাচল শিল্পের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে সীমিত।

 

এ ধরনের আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা নতুন নয়। এর আগেও ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তান ভারতের জন্য আকাশপথ বন্ধ করেছিল। প্রতিবারই ভারতের বিমান চলাচল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Comentários