নেতা নির্বাচনে যেসব গুণ দেখতে বলেছেন নবীজি

Kommentarer · 8 Visningar

আমাদের সুশৃঙ্খলভাবে বসবাস ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট?

আমাদের সুশৃঙ্খলভাবে বসবাস ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্র—সবখানেই নেতা নির্বাচন করা জরুরি। 

Advertisement

একজন নেতা তার অধীনস্থদের সুচারুরূপে পরিচালনা করবেন, তাদের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য কাজ করবেন। ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

নেতৃত্বের গুরুত্ব বোঝাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন তিনজন ব্যক্তি কোনো সফরে বের হবে, তখন তারা যেন তাদের একজনকে আমির (নেতা) বানিয়ে নেয়।” (আবু দাঊদ, হাদিস: ২৬০৯)

একজন নেতা একটি জাতি বা সমাজকে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যদি সৎ ও সদাচারী হন, তবে সমাজ শান্তিপূর্ণ হবে, উন্নয়নের পথ সুগম হবে। আর যদি নেতা অসৎ হন, তবে সমাজে নেমে আসবে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি।

বর্তমান সময়ে নেতা বা জনপ্রতিনিধি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তাই ভোটারদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। অযোগ্য কাউকে নেতৃত্বে বসালে তার মাধ্যমে সমাজে যে অরাজকতা সৃষ্টি হবে, তার জন্য ভোটার বা যিনি নির্বাচিত করেছেন, তাকে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে।

নেতা নির্বাচনের আগে আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে, প্রার্থীটি চরিত্রবান কি না। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, নবী (সা.) অশ্লীল ভাষী ও অসদাচরণকারী ছিলেন না। তিনি বলতেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে নৈতিকতায় সর্বোত্তম।” (বুখারি, হাদিস: ৩৫৫৯)

যাকে নেতা নির্বাচিত করব, তার সত্যবাদিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। কারণ একজন জনপ্রতিনিধির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো তাকওয়াবান ও সত্যবাদী হওয়া।

Kommentarer