নবম ও দশম শ্রেণির দরপত্রের প্রস্তাব প্রত্যাহার

코멘트 · 12 견해

আগামী শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের নবম ও দশম শ্রেণির বইয়ের দরপত্রের অনুমোদন দেয়নি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্ট?

আগামী শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের নবম ও দশম শ্রেণির বইয়ের দরপত্রের অনুমোদন দেয়নি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। রোববার কমিটির ৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন ‘এনসিটিবিতে আবারও সক্রিয় সিন্ডিকেট’ এমন শিরোনামে যুগান্তরে খবর প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অনুরোধে সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

Advertisement

শিক্ষা বিভাগের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ দপ্তর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) নবম শ্রেণি, দাখিল নবম শ্রেণি, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল নবম শ্রেণি এবং কারিগরি ট্রেড নবম ও দশম শ্রেণির বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়। এ দুই শ্রেণির বইয়ের লট ছিল ২৩৪টি। বইয়ের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখের মতো। এতে আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকার ক্রয়সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করা হয়েছে। দরপত্রের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ ধরনের গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বিন্যামূল্যে পাঠ্যবই ছাপাতে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে বেশির ভাগ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। সেখানে শিক্ষার্থীদের ৩০ ভাগ নিম্নমানের বই দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপানোর বিতর্কিত মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে এনসিটিবির বেশকিছু আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা মাঠে নামেন। তারা একই নিয়মে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করতে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ করেন।

코멘트