শারদীয় দুর্গোৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়কে জামায়াত আমিরের শুভেচ্ছা

Mga komento · 42 Mga view

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা এবং প্রশাসনের প্রতি নিরাপত্তা প্রদানের আহ্বান জানিয়??

বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও আমার নিজের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

 

 

তিনি আরও বলেন, সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে অভিহিত এবং প্রশংসিত। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্মসহ নানা আচার-অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে। এমন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নজির তামাম দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল। 

 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির এমন অনন্য পরিবেশের জন্য নানা সময়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছে। তারা বাংলাদেশকে একটি ‘মডারেট মুসলিম কান্ট্রি’ এবং সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির ‘রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতিতে মুগ্ধ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার এইচ ই গ্রে উইল কুক বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। পূজা ও ঈদ একই সময়ে পালনে এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে যেভাবে সহযোগিতা করে, তা দেখে আমরা মুগ্ধ।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান উইলিয়াম হানা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির উন্নত মডেল। এদেশে সব বিশ্বাস ও ধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে পাশাপাশি বসবাস করছে এবং নিজ নিজ ধর্ম পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে।’ সবার অংশগ্রহণ ও উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো পরিণত হয় সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায়, যা সারা দুনিয়ায় জাতি হিসেবে আমাদের নিয়ে গেছে উচ্চমাত্রায়।

Mga komento