ঠাকুরগাঁওয়ে ১৬ বছর পর মন্দিরে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

टिप्पणियाँ · 33 विचारों

দেড় দশকের অচলাবস্থা কাটিয়ে অবশেষে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঐতিহাসিক শ্রী শ্রী রসিক রায় জিউ মন্দিরে চলছে দুর্গা?

দেড় দশকের অচলাবস্থা কাটিয়ে অবশেষে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঐতিহাসিক শ্রী শ্রী রসিক রায় জিউ মন্দিরে চলছে দুর্গাপূজার আয়োজন।

 

স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে দুই বিবদমান পক্ষের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হওয়ায় মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে দীর্ঘদিনের জারি থাকা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ১৬ বছর পর এবার এই ঐতিহ্যবাহী স্থানে দুর্গাপূজা আয়োজনের অনুমতি মিলেছে। বর্তমানে প্রতিমা শিল্পীরা মূর্তিনির্মাণ ও মণ্ডপ সজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সনাতনী ও ইসকনপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল, যাতে মন্দিরের সেবায়েত ফুলবাবু নিহত হন। সেই ঘটনার পর থেকেই দুর্গাপূজার সময় মন্দির এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, যার ফলে পূজা-অর্চনা বন্ধ ছিল।

১৬ বছর পর নিজস্ব মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা অনুষ্ঠিত হতে চলায় ভক্ত এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মহেশ রায় বলেন, ১৬ বছর আমরা নিজেদের মন্দিরে পূজা করতে না পারার কষ্ট নিয়ে অন্যের মন্দিরে পূজা করেছি। আমাদের সেই দীর্ঘদিনের মানসিক কষ্ট অবশেষে দূর হলো।

যুবক নিপেন রায় তার ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার ছোটবেলায় শেষ পূজা হয়েছিল। বড় হওয়ার পর থেকে মন্দিরে তালা ঝুলতে দেখেছি। বাবার কাছে পূজার গল্প শুনে মন খারাপ হতো, এবার আমার সেই বহুদিনের ইচ্ছে পূরণ হবে।

মন্দিরের সেবায়েত অপু সরকার জানান, ২০০৯ সালের সেই ঘটনা আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবার পূজা করতে পারছি, তাই আমরা আয়োজনে কোনো কমতি রাখছি না। আশা করছি, এবার অনেক জমকালো আয়োজন হবে।

পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রসিক রায় জিউ মন্দিরে এবারের দুর্গোৎসব শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা জানান, জেলা প্রশাসনের একান্ত প্রচেষ্টা এবং মধ্যস্থতায় দুপক্ষ সমঝোতায় সম্মত হওয়ায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আশা করছি, পূজার পরেও তাদের মধ্যে বাকি সমস্যাগুলোও দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।

टिप्पणियाँ