মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা থেকে সাঈদ আনোয়ারের ১৯৪: আফ্রিদির স্মৃতিতে ভারত–পাকিস্তান লড়াই

Yorumlar · 43 Görüntüler

ভারতের দর্শক যেদিন পাকিস্তান দলকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছিলেন
সাহিবজাদা মোহাম্মদ শহীদ খান আফ্রিদি; শুধু শ?

Login

সর্বশেষ

বাংলাদেশ

রাজনীতি

বিশ্ব

বাণিজ্য

মতামত

খেলা

বিনোদন

চাকরি

জীবনযাপন

ভিডিও

Eng

ছবি

ছবি

ভিডিও

 

ক্রিকেট

মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা থেকে সাঈদ আনোয়ারের ১৯৪: আফ্রিদির স্মৃতিতে ভারত–পাকিস্তান লড়াই

কামরুল হাসানঢাকা

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮: ০০

ফলো করুন

 

ভারতের দর্শক যেদিন পাকিস্তান দলকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছিলেন

সাহিবজাদা মোহাম্মদ শহীদ খান আফ্রিদি; শুধু শহীদ আফ্রিদি নামেই পরিচয়। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক, সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরা অলরাউন্ডারদেরও একজন। বল পেটানোর মতাদর্শে খুব কড়া বিশ্বাস বলেই যেকোনো জায়গা থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারতেন, হয়ে উঠেছিলেন ‘গেম চেঞ্জার’। ২০১৯ সালে প্রকাশিত আফ্রিদির আত্মজীবনীর নামও সেটাই—গেম চেঞ্জার। যেখানে আফ্রিদি একটা অধ্যায় লিখেছেন ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে তাঁর স্মৃতি। এশিয়া কাপে আজ ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের আগে আফ্রিদির সেই স্মৃতিচারণা ক্রিকেটপ্রেমী পাঠকদেরও রোমাঞ্চিত করবে দারুণভাবে।

কী লিখেছেন শহীদ আফ্রিদি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে বছর আমার অভিষেক হয়, ১৯৯৬, ওটা ছিল ঘটনাবহুল এক বছর।

 

লাহোরে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জেতে শ্রীলঙ্কা। একই বছরে ভারতীয় ক্রিকেটে আসেন ‘দাদা’ ও ‘দ্য ওয়াল’—সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়, দুজনেই টেস্ট অভিষেকে করেন যথাক্রমে ১৩১ ও ৯৬ রান। সেই বছরই লর্ডসে নিজের শেষ টেস্ট পরিচালনা করেন কিংবদন্তি আম্পায়ার ডিকি বার্ড। আর নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা ওয়াসিম ভাই (ওয়াসিম আকরাম) ৩০০তম টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

 

পরের বছর, পাকিস্তানের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমি প্রথমবারের মতো ভারত সফরে যাই ‘স্বাধীনতা কাপ’ খেলতে। চার জাতির ওই ওয়ানডে টুর্নামেন্টে খেলেছিল শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও স্বাগতিক ভারত।

 

বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে সাফল্য, তার আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঝোড়ো অভিষেক—সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর সময় চলছিল আমার। ভারত সফরটা ছিল গরমের সময়। আবহাওয়া মোটেও সুবিধাজনক না। তবে বেশির ভাগ ম্যাচই ছিল দিন-রাতের। আমরাও ঠিক করে রেখেছিলাম, ভারতকে ওদের মাঠে হারানোর চেষ্টায় আবহাওয়াকে কোনোভাবেই বাধা হতে দেব না।

 

সিরিজের শুরুতেই ভারত ধাক্কা খায়। কিউইদের একটা ম্যাচে হারালেও শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের কাছে তারা বিধ্বস্ত হয়। আমাদের দলে তখন ওয়াসিম ভাই, ওয়াকার ভাই (ওয়াকার ইউনিস) এবং মুশতাক আহমেদের মতো বোলার ছিলেন না। সবাই ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলছিলেন। সেরা এই তিন বোলারকে ছাড়া কাগজে-কলমে আমাদের বোলিংকে দুর্বল দেখাচ্ছিল, কিন্তু মনোবল ছিল দৃঢ়।

Yorumlar