ট্রাম্পের দক্ষ কর্মী ভিসার ফি বৃদ্ধিতে ভারতীয় তরুণেরা কেন এতটা ভেঙে পড়েছেন

Mga komento · 32 Mga view

যুক্তরাষ্ট্র সরকার এইচ১বি ভিসায় বছরে এক লাখ টাকা ভিসা ফি আরোপ করায় কতটা বিপাকে পড়েছেন ভারতের তরুণেরা! তাঁদের ?

যুক্তরাষ্ট্র সরকার এইচ১বি ভিসায় বছরে এক লাখ টাকা ভিসা ফি আরোপ করায় কতটা বিপাকে পড়েছেন ভারতের তরুণেরা! তাঁদের স্বপ্নভঙ্গের কথা এই লেখায় তুলে আনার চেষ্টা করেছেন যশরাজ শর্মা। ২৯ সেপ্টেম্বর লেখাটি আল-জাজিরার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছে।

 

আল–জাজিরা

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮: ০০

ফলো করুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিফাইল ছবি: রয়টার্স

মেঘনা গুপ্তা সবকিছু পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। ২৩ বছর বয়সের মধ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করবেন, ভারতে কয়েক বছর চাকরি করবেন এবং তারপর ৩০ বছর বয়স হওয়ার আগেই স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন।

 

এ লক্ষ্যে মেঘনা ভারতের বৃহত্তম আইটি প্রতিষ্ঠান টাটা কনসালট্যান্সি সার্ভিসেসের (টিসিএস) হায়দরাবাদ অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেছেন। এ প্রতিষ্ঠানই ভারতকে বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিংয়ের শক্তিশালী কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। তিনি এমন একটি পদোন্নতির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা তাঁকে ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েস্ট কোস্টে কাজ করার সুযোগ করে দেবে।

 

এখন মেঘনা গুপ্তার বয়স ২৯ বছর। তাঁর স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ার পথে। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে ওলট–পালট করে দিয়েছে। এই ভিসা ব্যবহার করেই প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন দশকের বেশি সময় ধরে দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসত।

 

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে এই ভিসার ফি বছরে প্রায় দুই হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ডলার করা হয়েছে। এই ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভিসার নতুন খরচ চাপিয়েছে। যেখানে একজন এইচ-১বি ভিসা পাওয়া কর্মীর ন্যূনতম বেতন হওয়ার কথা ৬০ হাজার ডলার, সেখানে এখন নিয়োগকর্তার খরচ ন্যূনতম ১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠানই হয়তো কম বেতনে একই দক্ষতার মার্কিন কর্মী খুঁজে নিতে চাইবে।

Mga komento