থাইল্যান্ডের কেঁচো থেকে শুরু, বিষমুক্ত কৃষিতে সফল উদ্যোক্তা মামুনুর

commentaires · 31 Vues

থাইল্যান্ড থেকে কেঁচো এনে জৈব সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন শুরু করেন মামুনুর রশিদ। পাশাপাশি তিনি ট্রাইক্রো ক??

মামুনুর রশিদের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়ার উপজেলার টেপা মধুপুর ইউনিয়নের নিজদর্পা গ্রামে। এইচএসসি পাসের পর তাঁর আর লেখাপড়া হয়নি। ২০১০ সালে বিয়ে করার পর সংসারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে আসে। মামুনুর পৈতৃক জমি দেখাশোনার মাধ্যমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণের পর ২০১১ সালে কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে থাইল্যান্ড থেকে ৪০০টি লুমব্রিকাস রুবেলা জাতের কেঁচো এনে জৈব সারের উৎপাদন শুরু করেন।

 

 

 

প্রথম দিকে মামুনুর নিজ জমিতে বোরো ও আমন ধানের বীজ উৎপাদনের জন্য নিজের তৈরি সার ব্যবহার করেন। ২০১৩ সালে এলাকার অন্যান্য জমিতে ধানের শিষ সাদা হয়ে নষ্ট হলেও মামুনুরের দুই একর জমিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ, তিনি জৈব সার ব্যবহার করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে মামুনুর বলেন, তখন স্থানীয় কৃষকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, কী সার ব্যবহার করেছেন। মামুনুর তাঁর তৈরি করা জৈব সারের কথা বলেন। স্থানীয় কৃষকেরাও তাঁর কাছ থেকে জৈব সার নিয়ে ফসলি জমিতে ব্যবহার করেন। মামুনুরের তৈরি সারে আস্থা পেয়ে স্থানীয় কৃষকেরা এর নাম দেন ‘ম্যাজিক’ সার।

 

২০১৪ সালে চাহিদা বেড়ে গেলে মামুনুর জৈব সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। ৬টি থেকে ৪০টি সিমেন্টের রিং স্থাপন করা হয় এবং ২০টি হাউস নির্মাণ করা হয়। প্রতি মাসে পাঁচ–ছয় টন সার উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি জৈব সার বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। শ্রমিক দুজন এবং গোবর ব্যবহারের খরচ মাসে ৫০ হাজার টাকা, বাকি টাকা তাঁর লাভ।

commentaires