শনি গ্রহের চাঁদে প্রাণের উপাদান আবিষ্কার

Kommentarer · 36 Visningar

আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বেশি চাঁদের গ্রহ হিসেবে শনি গ্রহ আলোচিত। এবার শনি গ্রহের এনসেলাডাস চাঁদের বরফে আবৃত

Login

সর্বশেষ

বাংলাদেশ

রাজনীতি

বিশ্ব

বাণিজ্য

মতামত

খেলা

বিনোদন

চাকরি

জীবনযাপন

ভিডিও

Eng

ছবি

ভিডিও

ভিডিও

 

বিজ্ঞান

শনি গ্রহের চাঁদে প্রাণের উপাদান আবিষ্কার

প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ২৬

ফলো করুন

 

শনি গ্রহছবি: রয়টার্স

আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বেশি চাঁদের গ্রহ হিসেবে শনি গ্রহ আলোচিত। এবার শনি গ্রহের এনসেলাডাস চাঁদের বরফে আবৃত সমুদ্রে জটিল জৈব অণুর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে এনসেলাডাস চাঁদে প্রাণ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সাদা ও ক্ষতচিহ্নযুক্ত এনসেলাডাস চাঁদ ৫০০ কিলোমিটার চওড়া। ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শনি গ্রহ ও তার বলয় পরিদর্শনের সময় ক্যাসিনি মহাকাশযান বেশ কয়েকবার এনসেলাডাস চাঁদের পাশ দিয়ে উড়ে গেছে। সে সময় মহাকাশযানটি এনসেলাডাস চাঁদে থাকা বরফে আবৃত বিশাল সমুদ্র আবিষ্কার করে। সেই থেকে বিজ্ঞানীরা ক্যাসিনির সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করছেন। নতুন গবেষণার তথ্যমতে, চাঁদের সমুদ্রে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় লবণ, মিথেন, কার্বন ডাই–অক্সাইড ও ফসফরাসের উপস্থিতি রয়েছে।

 

 

 

মহাকাশযানটি যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেখানে পৃষ্ঠের ফাটল দিয়ে পানির জেট বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। সেখানকার জলীয় কণা বালুকণার চেয়েও ছোট বরফের কণাকে মহাকাশে ছুড়ে দিচ্ছিল। এই বরফ কণার কিছু চাঁদের পৃষ্ঠে ফিরে যায়। আর বাকি অংশ শনির বলয়ের চারপাশে জড়ো হয়। এ বিষয়ে জার্মানির বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির প্ল্যানেটারি বিজ্ঞানী নোজায়ার খাওয়াজা বলেন, ক্যাসিনি যখন শনির সবচেয়ে বাইরের ই নামের বলয়ের মধ্য দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, তখন তা এনসেলাডাস থেকে নমুনা শনাক্ত করছিল। সেই নমুনা পরীক্ষা করে অসংখ্য জৈব অণুর দেখা পাওয়া যায়। এসব অণু অ্যামিনো অ্যাসিডের পূর্বসূরি হিসেবে শনাক্ত করা গেছে।

 

 

এনসেলাডাস চাঁদে থাকা বরফের কণা শত শত বছর ধরে একটি বলয়ে আটকে আছে। ২০০৮ সালে যখন ক্যাসিনি সরাসরি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে বের হওয়া জলীয় কণার মধ্য দিয়ে উড়ে যায়, তখন বরফের কণা মহাকাশযানের কসমিক ডাস্ট অ্যানালাইজারকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮ কিলোমিটার গতিতে আঘাত করেছিল। এই কণার বিস্তারিত রাসায়নিক বিশ্লেষণ শেষ করতে বহু বছর সময় লেগে যায়। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক পোস্টবার্গ জানান, এই গবেষণা প্রমাণ করছে, শনির ই বলয়ে ক্যাসিনি যে জটিল জৈব অণুগুলো শনাক্ত করেছিল, তা মহাকাশে দীর্ঘ সময় ধরে থাকার কারণে নয়। এনসেলাডাসের সমুদ্রেই এসব জৈব অণু রয়েছে।

Kommentarer