আসছে নতুন নেতৃত্ব, ডিসেম্বরে জামায়াতের আমির নির্বাচন

코멘트 · 43 견해

ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির নির্বাচন। গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন দলটির স??

ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির নির্বাচন। গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন দলটির সারাদেশে থাকা এক লাখের বেশি রুকন সদস্য। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই অভ্যন্তরীণ ভোট দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাঠামোয় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

 

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

দীর্ঘ দেড় দশক পর ঘুরে দাঁড়ানো জামায়াত সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ফের সক্রিয় হয়েছে। 'জুলাই সনদ'–এর আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দলটি রাজপথে সরব। একই সঙ্গে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে দলটি। এরমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, আসন্ন আমির নির্বাচন ঘিরে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে বড় রদবদল আসতে পারে।

 

বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. শফিকুর রহমান। তার মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করে দেয়, যেখান থেকে রুকন সদস্যরা ভোট দিয়ে একজনকে আমির হিসেবে বেছে নেন। তবে প্যানেলের বাইরের কাউকেও ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে।

 

দলীয় সূত্র জানায়, সম্ভাব্য দুটি প্যানেল নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত জামায়াত। একটি প্যানেলে রয়েছেন—ডা. শফিকুর রহমান, বর্তমান নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম। অন্যটিতে আজহারের জায়গায় আলোচনায় আছেন আরেক নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।

 

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। তার ভাষায়, "জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুন আমিরের কাঁধেই থাকবে বড় চ্যালেঞ্জ।"

 

ডা. শফিকুর রহমান প্রথমবার জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন ২০১৯ সালে এবং পুনর্নির্বাচিত হন ২০২২ সালে। যদিও গঠনতন্ত্রে তিন বছরের মেয়াদ নির্ধারিত, একজন ব্যক্তি কতবার এই পদে আসীন হতে পারবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।

코멘트