কুয়াশার ঘের ভেঙে মাথা তোলা রাতুল নগর

Mga komento · 27 Mga view

এসো
এই গ্রীষ্মের প্রান্তরে অজৈব ছায়ায় একটানা হেঁটে হেঁটে
ভীষণ ফ্যাকাসে হয়ে গেছ
এসো অযান্ত্রিক রোদে, খানি

এসো

এই গ্রীষ্মের প্রান্তরে অজৈব ছায়ায় একটানা হেঁটে হেঁটে

ভীষণ ফ্যাকাসে হয়ে গেছ

এসো অযান্ত্রিক রোদে, খানিক জিরিয়ে নাও।

 

না হয় কবুল করে নিলে হতশ্রী সংসার

তথাপি ভাবনা কী; শিরীষপাতায় আছে শিশিরের গান

রূপা-জোছনায় জুঁইফুলের গন্ধ!

 

জীবনের ঘাম লহমায় মুছে ফেলার কোনো রুমাল নেই

ছত্রখান ভালোবাসায় তোমাকে পাহাড়ি বাংলোর মতো

একান্ত ঝলমলে গল্প উপহার দেব—

এসো বিশ্বস্ত রোদে, জিরিয়ে নাও

অজৈব ছায়ায় হেঁটে হেঁটে ভীষণ ফ্যাকাসে হয়ে গেছ!

 

 

 

জনৈক নির্জন রোদ

জনৈক নির্জন রোদ, মতিচ্ছন্ন;

বুকে তার অসুখের মতো ভালোবাসার বেদনা

সেই আলোড়ন টের পেয়ে মাঝে মাঝে

দু চারটে সুমিষ্ট গোলাপ

বেদনার ভাগ নেবে বলে সাড়া দিয়েছিল।

 

মতিচ্ছন্নের জ্বরের তন্তু জাগা মুখ

চালচুলাহীন পাতাঝরা শীতের দুপুর

সামান্য সুবাস ছড়িয়েই একে একে

সরে গেল সব বিষয়ী-গোলাপ!

 

নির্জন রোদ্দুর তার গহিনের স্বরলিপি যত

জমা রাখে কুয়াশার বুকে

সে সংগীত জেগে থাকে শুধু বৃষ্টির জন্মরেখায়

Mga komento