আবার অভ্যুত্থান হলে ৫-৭টা হেলিকপ্টার লাগবে: মঞ্জু

Comments · 2 Views

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আসার আহ্বান জানিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজ?

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে এবি পার্টির নেতা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই এই সরকারের জন্ম। এখন যদি কেউ সাংবিধানিক বিতর্ক তোলে, তবে সেই বিতর্কই নতুন অভ্যুত্থানের জন্ম দেবে। তখন আমরা সবাই সেই আহ্বানের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য হব। আর যারা হবেন না, তাঁদের হয়তো হেলিকপ্টারের টিকিট কাটতে হবে।’

 

 

রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চতুর্থ দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

 

মঞ্জু মনে করেন, ‘অহেতুক’ সাংবিধানিক বিতর্ক তুলে রাজনৈতিক সংকটকে দীর্ঘায়িত করা হলে পরিস্থিতি আবারও ‘অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে’।

 

 

তিনি বলেন, ‘‘সনদ নিয়ে আমরা যদি ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমঝোতা বা সমাধানে না আসি, তাহলে আরেকটি অভ্যুত্থান অনিবার্য। তখন কেউ পালানোর পথ পাবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, জুলাই সনদের ব্যাপারে যেহেতু আমরা একমত হয়ে গেছি, এখন এটার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে অহেতুক সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে এবং মানুষ বিরক্ত হচ্ছে।’

 

‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে একটা সংবিধান আদেশ দিতে পারেন। কারণ, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা দুইটা ক্ষমতা পেয়েছি। একটা হচ্ছে সংশোধনের ক্ষমতা; আরেকটা হচ্ছে রাষ্ট্র শাসনের ক্ষমতা। এই দুই ক্ষমতা পাওয়ার পর আবার নতুন করে কেন এখতিয়ার লাগছে?’

 

সাংবিধানিক বিতর্ক তুলে ‘রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করা অনুচিত’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছিলেন। সেটি আমরা সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ফলে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সমাধান এসেছে।’

 

‘দেশের মানুষের প্রশ্ন—নির্বাচন হবে কি না। তাই এখন এই অনৈক্য দূর করে, সাংবিধানিক বিতর্ক সরিয়ে আমাদের সবাইকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। বিএনপিকেও অনুরোধ করেছি, তারা যেন কিছু নোট অব ডিসেন্ট প্রত্যাহার করে নেয়।’

 

এবি পার্টির পক্ষ থেকে তিন ধাপে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন মঞ্জু। তার মধ্যে রয়েছে–প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ‘সংবিধান আদেশ’ আকারে জুলাই সনদ জারি করবেন; এরপর জনগণের মতামত নিতে গণভোট হবে এবং এর আগে বা সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে মতামত নেওয়া হবে।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান পরিবর্তন করতে পারি, তবে সেটি জনগণের সম্মতির ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। জনগণের সম্মতি যাচাই করতে গণভোটের বিকল্প নেই।

 

‘গণভোটের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। জামায়াত বলছে, ‘সংবিধান আদেশ’ দিয়েই বাস্তবায়ন সম্ভব। আমরা বলেছি, দুই পক্ষের অবস্থানই এক জায়গায় মিলছে। কারণ, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নিশ্চিত হলে আর কেউ বলতে পারবে না যে এটি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়।’

Comments