যে কারণে মাজারের পাশে শুয়েছিলেন সমু চৌধুরী

Комментарии · 101 Просмотры

বাংলাদেশের গুণী অভিনেতা সমু চৌধুরীকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ময়মন

বাংলাদেশের গুণী অভিনেতা সমু চৌধুরীকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের পাশে রাস্তার ধারে একটি বটগাছের নিচে শুয়ে ছিলেন তিনি। 

আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সামাজিক মাধ্যমে তার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে রাস্তার ধারে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। অনেকেই প্রথমে ভেবেছিলেন এটি কোনো নাটক বা চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের দৃশ্য। তবে পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে মাজারের পাশে এভাবে অবস্থান করছিলেন।

একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ছবিটি পোস্ট করে লেখেন, ‘মনে হচ্ছে উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। উনার আত্মীয়স্বজন বা কাছের প্রিয়জনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ পোস্টটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায় এবং ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়।

পরে পাগলা থানা পুলিশের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু। তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদাকে নিকটস্থ পাগলা থানা প্রশাসনের মাধ্যমে মাজারের ওখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে নিয়েছি। ঢাকা থেকে আমাদের একটি দল রওনা দিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব উনাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।’

দেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন জগতের পরিচিত মুখ সমু চৌধুরী বহু নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন। তার এমন করুণ পরিস্থিতি দেখে সহকর্মী ও ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ ও সহানুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে সমু চৌধুরীর সুস্থতা কামনা করছেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অভিনয় শিল্পী সংঘ জানিয়েছে, তাকে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

উল্লেখ্য, সমু চৌধুরী মানসিকভাবে অসুস্থ। এর আগেও উনি এভাবে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পরেছিলেন। এ বিষয়ে রাশেদ মামুন অপু গণমাধ্যমকে বলেন, সমুদা মানসিক চাপে এমনটি করেছেন। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সমু চৌধুরী, দেশের মঞ্চ, টিভি এবং সিনেমার জনপ্রিয় একজন অভিনেতা।

১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বিটিভিতে প্রচারিত হয় তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘সমৃদ্ধ অসীম’। নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন আতিকুল হক চৌধুরী। সেই নাটকে অভিনয় করে তিনি সাতশ টাকা সম্মানী পেয়েছিলেন।

Комментарии