পঞ্চগড়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা স্ত্রীর

注释 · 5 意见

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্য?

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) আসিফ আলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ শনিবার সাংবাদিকদের কাছে মামলার তথ্য জানান বাদী ও তাঁর স্ত্রী স্বীকৃতি রহমান।

এর আগে আদালতে আবেদনের পর ১৭ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন স্বীকৃতি। এতে আসিফকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নওয়াব আলীর ছেলে। অন্যদিকে স্বীকৃতি যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি সড়ক এলাকার দেওয়ান মিজানুর রহমানের মেয়ে। তাঁরা উভয়ই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয়

এর আগে আদালতে আবেদনের পর ১৭ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন স্বীকৃতি। এতে আসিফকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নওয়াব আলীর ছেলে। অন্যদিকে স্বীকৃতি যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি সড়ক এলাকার দেওয়ান মিজানুর রহমানের মেয়ে। তাঁরা উভয়ই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয়।

স্বীকৃতি জানান, আগের জানাশোনা থেকে সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে আসিফকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁরা উভয়ই তালাকপ্রাপ্ত। স্বীকৃতির প্রথম পক্ষে একটি কন্যাসন্তান আছে।

স্বীকৃতি ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর তাঁরা সুখে–শান্তিতেই সংসার শুরু করেন। কিন্তু মাসখানেক যেতেই ওই বছরের ১৫ নভেম্বর একটি গাড়ি কেনার জন্য ২৫ লাখ টাকা দাবি করেন আসিফ। কাঙ্ক্ষিত টাকা দিতে না পারায় তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান আসিফ। পরদিন তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে যশোরে বাবার বাড়ি চলে যান। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সেখানে দাওয়াতে যান আসিফ। ১৫ ফেব্রুয়ারি শ্বশুর–শাশুড়ির কাছে আবার সেই টাকা দাবি করলে, তা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এর এক পর্যায়ে স্বীকৃতিকে মারধর করেন আসিফ। পরে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন স্বীকৃতি। এ ঘটনার পর তাঁর স্বামী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেখিয়ে তাঁকে হেনস্তা করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আসিফ আলী বলেন, ‘মামলার অভিযোগে নির্যাতনের যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ে আমি দাপ্তরিক প্রশিক্ষণে সাভারে অবস্থান করছিলাম। সুতরাং তাঁকে নির্যাতনের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমি তো যশোরে ছিলাম না। তিনি এখন আর আমার স্ত্রী নেই। যেহেতু মামলা করেছেন, আদালতই বিচার করবেন।’

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন মোল্লা বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন, না চার্জশিট হবে, তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

注释