বাবার প্রথম বলেই ছেলের বিশাল ছক্কা

注释 · 25 意见

বাবা মোহাম্মদ নবীর প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছেন ছেলে হাসান ইসাখিল। আফগানিস্তানের শপাগিজা লিগে শেষ পর্যন্ত জিতে??

বাবা মোহাম্মদ নবীর প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছেন ছেলে হাসান ইসাখিল। আফগানিস্তানের শপাগিজা লিগে শেষ পর্যন্ত জিতেছে নবীর দলই।

ছেলের কাছে হেরে যাওয়াকেই নাকি বাবারা জয় মনে করেন। মোহাম্মদ নবী সেটা মনে করেন কি না, তা আপাতত জানা সম্ভব নয়। তবে মাঠের একটা মুহূর্তের জন্য ছেলেকে নিয়ে তাঁর গর্ব হওয়ারই কথা।

গত শনিবার আফগানিস্তানে শুরু হয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা শপাগিজা ক্রিকেট লিগ। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে গতকাল মুখোমুখি হয়েছে দেশটির তারকা অলরাউন্ডার নবীর দল মিস আইনাক নাইটস ও তাঁর ছেলে হাসান ইসাখিলের দল আমো শার্কস।

কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাবা নবীর প্রথম বলেই বিশাল ছক্কা মেরেছেন ছেলে ইসাখিল। সেই মুহূর্তের ভিডিও দ্রুতই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

আগে ব্যাটিংয়ে নামা আমো শার্কসের রান তখন ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৬৬। স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা হাসান ইসাখিল তখন ২৩ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত। এমন সময় সানগ্লাস পরে বোলিংয়ে আসেন মোহাম্মদ নবী।

রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে নিজের প্রথম বলটা করেন ইসাখিলের পছন্দের স্লটে। সুযোগটা হাতছাড়া করেননি তিনি। সজোরে ব্যাট চালিয়ে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে বল পাঠান সীমানার ওপারে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ছক্কা খাওয়ার পর ছেলের দিকে কয়েক সেকেন্ড বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে পরের বল করতে যান নবী। চুইংগাম চিবোতে থাকা ইসাখিল যেন বাবাকে পাত্তাই দিতে চাননি। একটু হেসে সঙ্গী ব্যাটসম্যান শহীদউল্লাহ কামালের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।

ক্রিকেট মাঠে বিরল এই দৃশ্য নিয়ে ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘মোহাম্মদ নবীকে সম্ভাব্য সেরা উপায়ে স্বাগত জানালেন ইসাখিল।’

আরেক ধারাভাষ্যকার মজা করে বলেন, ‘ভদ্রতা বলতে কি কিছুই নেই! তিনি আপনার বাবা, আর আপনি প্রথম বলেই এত বড় ছক্কা মারলেন!’ এরপর তিনি বলেন, ‘এটাই ক্রিকেট। মাঠের বাইরে আপনি আমার বাবা হতে পারেন। আপনার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু আপনি যদি আমাকে এ ধরনের বোলিং করেন, তাহলে ছক্কা মারবই।’

ম্যাচের ওই এক ওভারই বল করেছেন নবী, দিয়েছেন ১২ রান। বাবার প্রথম বলে ছক্কার মারার পর দুটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেলে আরও ৫ রান নিয়েছেন ইসাখিল। আরেকটি সিঙ্গেল নিয়েছেন শহীদউল্লাহ।

তবে ছেলের কাছে ছক্কা খেলেও নবীই শেষ হাসি হেসেছেন। ইসাখিলের দল আমো শার্কসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে নবীর মিস আইনাক নাইটস।

আরেক ধারাভাষ্যকার মজা করে বলেন, ‘ভদ্রতা বলতে কি কিছুই নেই! তিনি আপনার বাবা, আর আপনি প্রথম বলেই এত বড় ছক্কা মারলেন!’ এরপর তিনি বলেন, ‘এটাই ক্রিকেট। মাঠের বাইরে আপনি আমার বাবা হতে পারেন। আপনার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু আপনি যদি আমাকে এ ধরনের বোলিং করেন, তাহলে ছক্কা মারবই।’

ম্যাচের ওই এক ওভারই বল করেছেন নবী, দিয়েছেন ১২ রান। বাবার প্রথম বলে ছক্কার মারার পর দুটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেলে আরও ৫ রান নিয়েছেন ইসাখিল। আরেকটি সিঙ্গেল নিয়েছেন শহীদউল্লাহ।

তবে ছেলের কাছে ছক্কা খেলেও নবীই শেষ হাসি হেসেছেন। ইসাখিলের দল আমো শার্কসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে নবীর মিস আইনাক নাইটস।

১৮ বছর বয়সী ইসাখিল ৫২ রান করে আউট হওয়ার পর আমো শার্কসের ইনিংসে মড়ক লাগে। দলটি ৬০ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানে অলআউট হয়। জবাবে ৩ ওভার বাকি রেখেই লক্ষ্য টপকে যায় মিস আইনাক নাইটস। নবী ৩ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরেই তিনি দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

৪০ পেরোনো নবী সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আফগানিস্তান জাতীয় দলে ছেলে ইসাখিলের সঙ্গে খেলার স্বপ্নের কথা জানিয়ে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ইসাখিলের শুরুটা ভালোই হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম চার ম্যাচের দুটিতেই সেঞ্চুরি করেছেন। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও আছে চারটি ফিফটি।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারলে অচিরেই জাতীয় দলে ঢুকে যেতে পারেন ইসাখিল। বাবা-ছেলে একসঙ্গে দেশের হয়ে খেলার সেই বিরল কীর্তির অপেক্ষাতেই আছেন নবী।
 
注释