বাংলাদেশ ব্যাংকের রোববার (২৭ জুলাই) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসের বাকি সময়েও এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে, জুলাইয়ের শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ইতিবাচক ধারার পেছনে রয়েছে হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং চ্যানেলের উন্নতি। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরেছে।
গত জুন মাসেই দেশে এসেছে ২.৮২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স, যা আগের বছরের জুনের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
অর্থবছর হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার—যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগের বছর (২০২৩-২৪) দেশে এসেছিল ২৩.৭৪ বিলিয়ন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ।
প্রবাসী আয় বাড়ায় ডলারের জোগান এবং দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরার আভাস মিলছে, যা সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বার্তা বলেই মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।