লাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে র্যাপার সেজানের ‘কথা ক’ গানটি যেন এক রকম স্লোগান হয়ে উঠেছিল। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসা গানটি আন্দোলনের মিছিলে, পথসভায় বাজতে থাকে বারবার। হিপহপ ঘরানার এই গানটির জন্য সেসময় প্রশংসিতও হন সেজান।
কিন্তু এক বছর না যেতেই সেই আন্দোলনকে ঘিরেই স্পষ্ট ক্ষোভ ঝাড়লেন এই র্যাপার।
২৭ জুলাই নিজের ফেসবুক ওয়ালে সেজান লিখেছেন, ‘জুলাই আন্দোলন সম্পর্কিত যে কোনও শো-এর ব্যাপারে আমার সাথে কোনও যোগাযোগ করবেন না।’
কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি লেখেন, ‘আন্দোলনে ছাত্রজনতার সমর্থনে সর্বপ্রথম দাঁড়ায় বাংলাদেশ হিপহপ কমিউনিটির র্যাপাররা। আমাদের গ্রাফিতি আর্টিস্টরাও সেখানে মুখ্য ভূমিকা রাখে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই জুলাই সম্পর্কিত যেসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে র্যাপ বা হিপহপ আর্টিস্টদের প্রাধান্য নেই বললেই চলে।’
সেজানের ভাষ্যে, অনেক জায়গায় তারা পারফর্ম করলেও সেটা যেন ‘জোর করে’ ঢুকে পড়ার মতো। তাঁর মতে, হিপহপ এখন আর আলাদা কোনো ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ ধারা নয়, এটা এখন মূলধারার অংশ—কিন্তু সম্মান ও সম্মানী দুটিই থেকে যাচ্ছে কম।
‘অনেক জায়গায় কয়েকজনকে রাখা হলেও নামমাত্র সম্মান ও সম্মানী অফার করা হয় অন্যান্য ব্যান্ড বা শিল্পীদের তুলনায়’, বলেন সেজান।
তাই এখন থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু শোর বাইরে আর কোথাও যেতে রাজি নন এই র্যাপার। লিখেছেন, ‘যেসব শোগুলাতে আমি কথা দিয়েছি, সেগুলো শেষ করার পর প্রোপার লাইনআপ মেইনটেইন করে আমাকে ডাকবেন। আর শোতে আর্টিস্টের প্রোপার প্রোটোকল দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। অন্যথায় অযথা নিজের ও আমার সময় নষ্ট করবেন না কেউ আশা করি।’
পোস্টের একদম শেষে র্যাপারসুলভ ভঙ্গিতে সেজান লেখেন—‘ক্ষ্যাপা গানের আর্টিস্ট আমরা, ক্ষ্যাপ আর্টিস্ট না। রেস্পেক্ট ছাড়া যারেই পাবি, র্যাপ আর্টিস্ট না।’
‘কথা ক’ গানটি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে উঠে এসেছিল দুই নম্বরে।