গাজায় ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে খাদ্যসংকটে শিশু ও নারীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত ১৪ জন ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে, ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে এ চিত্র।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যার মধ্যে ৮৮ জন শিশু। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মূল কারণ হলো ইসরায়েলের আরোপ করা কঠোর অবরোধ।
মার্চে ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিকভাবে তুলে নেওয়া হয়। তবে এরপর থেকে যে সামান্য পরিমাণে সহায়তা প্রবেশ করেছে, তা এই ঘোরতর সংকট মোকাবেলায় একেবারেই অপ্রতুল। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বহুবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, গাজায় দ্রুত মানবিক সাহায্য প্রবেশ না করলে গণঅনাহার ঘটতে পারে।
এই অবস্থায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন যে গাজায় ‘বাস্তব ক্ষুধামৃত্যুর’ লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, শুধু বক্তব্য নয়, অবিলম্বে বাস্তব সহায়তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, নইলে শিশুদের এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হবে না।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এই অবস্থা ব্যর্থ মানবিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাখো মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার উপেক্ষিত হচ্ছে। এই মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে আন্তর্জাতিক মহল থেকে।
Search
Popular Posts