বিমানের শব্দ শুনলেই কলিজা কেঁপে ওঠে

التعليقات · 2 الآراء

শিক্ষার্থীদের ট্রমা কাটাতে বিমান বাহিনীর চিকিৎসা ক্যাম্প ও কাউন্সেলিং

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সেই বিভীষিকাময় দুপুর পেরিয়ে গেছে এক সপ্তাহ আগে। তবে স্মৃতি এখনো ছাত্র, শিক্ষক আর অভিভাবকদের তাড়া করে ফিরছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের ভয়-আতঙ্ক এখনো কাটেনি। বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসে এসে ভাঙা দেওয়াল আর পোড়াগাছ দেখেও আঁতকে উঠছেন অনেক শিক্ষার্থী। দ্রুত ক্যাম্পাস এলাকা ত্যাগ করতে পীড়াপীড়ি শুরু করে তারা। ক্যাম্পাসের কাউন্সেলিং সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাহিদ সাবির বলে, ‘ঘটনার পর তিন বার স্কুলে এসেছি। এখানে এলেই বিমানের বিকট শব্দ কানে আসছে আর কলিজাটা কেঁপে উঠছে।’ চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুহান হোসেন বলে, ‘বিমানের শব্দ শুনলেই মনে হচ্ছে মাথায় এসে পড়বে, মনে হচ্ছে পালাই।’ শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ ট্রমায় যাওয়ায় এবার বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় চিকিৎসা ক্যাম্প ও কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ছুটি বাড়িয়ে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ছুটি বাড়ল।

 

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসার জন্য আগামী সাত দিনের অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। এই ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ নিচ্ছেন অনেকে। কাউন্সেলিংয়ে আসা অনেকেই এখনো মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে আছে, বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া অস্থায়ী এই চিকিৎসা ক্যাম্প চলবে এক সপ্তাহ। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এখান থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রবেশমুখে অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্পের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। লোকজন ভেতরে যাচ্ছেন। কেউ এসেছেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে, কেউ-বা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের জায়গাটি দেখতে এসেছেন। ক্যাম্পাসের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনে চলছে চিকিৎসা ক্যাম্পের কার্যক্রম। ভবনটির বারান্দায় মানুষের ভিড়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম বারান্দায় বসে নিবন্ধন করছেন বিমান বাহিনীর একজন সদস্য। নিবন্ধন শেষে লোকজন বারান্দায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। ভবনটির কয়েকটি কক্ষে বিমান বাহিনীর চিকিৎসকরা সেবা নিতে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন। নাম নিবন্ধন করে ১০৮ নম্বর কক্ষের সামনে অপেক্ষা করছিলেন মাইলস্টোন স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী চন্দ্র কুমার বিশ্বাস। সে জানায়, যে ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়, সেটির দোতলায় ছিল তার শ্রেণিকক্ষ। স্কুল ছুটি হওয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কয়েক মিনিট আগে সে শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে ক্যান্টিনে চলে গিয়েছিল। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বন্ধু শামীমকে হারিয়েছে সে। নানার সঙ্গে বিদ্যালয়ে আসা এই শিক্ষার্থী বলে, ‘রাতে ঘুমানোর সময় ভয় পাই। দুঃস্বপ্ন দেখি। বন্ধু শামীমকে স্বপ্নে দেখি।’

 

অভিভাবকের সঙ্গে চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুহান হোসেন। শিশুটির কানে ব্যথা। তার কান ফুলে আছে। হাত ও মুখে পোড়া দাগ। ক্যাম্পে চিকিৎসকরা নুহানকে দেখে কিছু পরামর্শ ও ওষুধপত্র দিয়েছেন। প্রয়োজনে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হবে বলে জানান তারা। স্কোয়াড্রন লিডার শিহাবুল ইসলাম ও স্কোয়াড্রন লিডার ইসরাতের নেতৃত্বে ১৫ জন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। 

 

স্কোয়াড্রন লিডার চিকিৎসক শিহাব আলী বলেন, ‘মাইলস্টোনের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলেন, তাদের অনেকেই আসছেন। ঘটনার পর থেকে রাতে ঘুম হচ্ছে না, এমন লোকজন আসছেন। আগুনে সামান্য দগ্ধ হওয়া কয়েক জন শিক্ষার্থী এসেছে। অনেকে ড্রেসিং করাচ্ছেন, অনেকে ওষুধ নিচ্ছেন। এছাড়া যাদের অনেক বেশি মানসিক সমস্যা পাওয়া যাবে, তাদের সিএমএইচে পাঠানো হবে। তবে এ পর্যন্ত কাউকে পাঠানো হয়নি।’ চিকিৎসক দেখাতে আসেন মাসুদ আলম। সঙ্গে ছেলে সিরাতুল মোস্তাকিম। মাসুদ মাইলস্টোনের কর্মী। আর সিরাতুল এই বিদ্যালয়েরই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বাসা বিদ্যালয়ের পাশের এলাকায়। মাসুদ জানান, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার শরীরে ব্যথা রয়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এসেছেন। ঘটনার দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মাসুদ বলেন, ‘যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের সময় ছেলে স্কুলের মাঠে খেলছিল। তার মাথার খুব কাছ দিয়ে যুদ্ধবিমানটি ওড়ে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়।’ মোস্তাকিমের মানসিক অবস্থার কথা জানিয়ে মাসুদ বলেন, ‘এ ঘটনায় দুই বন্ধুকে হারিয়েছে সে। এখন বাসার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ উড়ে যাওয়ার শব্দ পেলেই সে ভয় পায়। তার ভয়-আতঙ্ক কাটছে না। বন্ধুদের স্বপ্নে দেখে।’ মোস্তাকিমকে একা একা না থাকতে, সহপাঠী-বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর তাকে বলেছেন, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কোথাও থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। চিকিৎসা ক্যাম্পে বিমান বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, আজকে দুই জন চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন। সঙ্গে আছেন চিকিৎসা সহকারীরা। মোট ১৫ সদস্যের একটি দল এই ক্যাম্প পরিচালনা করছেন। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের চিকিৎসা ক্যাম্পের বিষয়টি জানানো হয়েছে। সামান্য পুড়ে যাওয়া কিংবা আগুনের আঁচ লাগা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি ড্রেসিং করানো, ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছু আহত ব্যক্তি, যারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, কিন্তু এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন, তারাও চিকিৎসক দেখাতে আসেন।

 

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেই দেখা যায়, ডান পাশে একতলা বিল্ডিংয়ে ছয়টি শ্রেণিকক্ষ আছে। বাঁ পাশে একতলা ভবনে আছে কেজি শ্রেণির জন্য ১৮টি ক্লাসরুম। বাঁ পাশের ছয়টি ক্লাসরুমের পরে আছে স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাফেটরিয়া। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের ২ নম্বর গেট। এর পরই দুই তলা একাডেমিক ভবন, ২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করেই ডানে যার অবস্থান। যার নাম হায়দার আলী ভবন। গত ২১ জুলাই বেলা ১টা ১২ মিনিট থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে এই ভবনে বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণরত অবস্থায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি প্রথমে এই ভবনের মাঝ বরাবর সিঁড়ির বাঁ পাশে বাইরে আছড়ে পড়ে। পরে এটি প্রায় ৩০ গজ গর্ত করে সামনে এগিয়ে যায়। পরে ভবনের নিচতলায় গিয়ে আঘাত করে। বিমানের সামনের অংশ নিচতলার একটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে যায়। নিচতলায় বিল্ডিংয়ের ভাঙা অংশ এবং বাইরে গর্ত দেখা যায়। তবে দুই তলায় ভাঙা কোনো অংশ দেখা যায়নি। দোতলা ভবনটির মাঝে সিঁড়ি। তার দুই পাশেই একেকটি কক্ষ। নিচতলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং দ্বিতীয় তলায় পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্শনের পড়াশোনা হয়। সব মিলিয়ে ১৮টি ক্লাসরুম আছে। প্রতিটি কক্ষই সরু। বেঞ্চগুলোও ছোট। একেকটি কক্ষে ৩৫ জন শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করত। ক্লাসরুমে আসা ও যাওয়ার পথ একটাই, মানে পুরো ভবনে সিঁড়ি মাত্র একটি। তা-ও আবার তুলনামূলক ছোট। ভবনটির নিচ তলার বাঁ দিকে সিঁড়ির পাশেই শিক্ষকদের বিশ্রামাগার আছে। পরপর পাঁচটি ক্লাসরুম। এসব রুমে তৃতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি ও বাংলা ভার্শনের পাঠদান হয়। নিচ ও দ্বিতীয় তলায় দুইটি বাথরুম আছে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসটি সবুজে ঘেরা। দুইটি ১০ তলা বিল্ডিং ও একটি আটতলা বিল্ডিং রয়েছে। আরেকটি ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলমান। স্থায়ী ক্যাম্পাস হওয়া সত্ত্বেও উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছিল না ফায়ার হাইড্রেন্টসহ অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম। পাশাপাশি ছিল না জরুরি নির্গমন ব্যবস্থাও। ফলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে ‘হায়দার আলী ভবন’-এর প্রথম ও দ্বিতীয় তলা থেকে শিশু-শিক্ষার্থীসহ অন্যরা বের হতে পারেনি। এতে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে।

 

একতলা বিল্ডিংয়ের ছয়টি ক্লাসরুমের মধ্যে তিনটা রুমে ট্রমা (মনোদৈহিক চাপ) কাটাতে স্কুলে আয়োজিত ‘কাউন্সেলিং’ (মানসিক স্বাস্থ্যগত পরামর্শ ও চিকিৎসা) করানো হচ্ছে। তিনটি কক্ষে তিন জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন মাইলস্টোনের দায়িত্বরত চিকিৎসক। বাকি দুই জন এসেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা। এই একতলা ভবনের একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ সারি করে রাখা হয়। ব্যাগের ওপর শিক্ষার্থীদের নাম-রোল, শ্রেণি ও শাখা লিখে একটি কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া রয়েছে। কক্ষটিতে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাগের মধ্যে একটি কালো রঙের ব্যাগ আলাদা করে নজরে পড়ে। দেখে বোঝা যাচ্ছে, ব্যাগটি আগুনে পুড়েছে। গতকালও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুল ব্যাগ নিতে আসেন। তাবাসসুম পারভীন ও তানভীর হোসেন আব্দুল্লাহ নামে মাইলস্টোনের দুই শিক্ষার্থীর বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘তাবাসসুম মাইলস্টোনের সপ্তম ও আব্দুল্লাহ প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে আমার ছেলেমেয়ে। কিন্তু ওরা এত ভয় ও মানসিক আঘাত পেয়েছে যে, কারণ ছাড়াই কান্নাকাটি করছে। ঠিকমতো খাচ্ছে না। স্কুল-সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানতে পেরে বাচ্চাদের স্কুলব্যাগ ও মানসিক বিষয়গুলো নিয়ে কাউন্সেলিংয়ের জন্য এখানে নিয়ে এসেছিলাম।’ চিকিত্সকরাও বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মাইলস্টোনের দশম শ্রেণির সাজিদ সাহিক এবং পঞ্চম শ্রেণির সাহিদ সাবির আপন দুই ভাই। সাজিদ সেদিন বাসায় থাকলেও সাবির ছিল স্কুলে। এমনকি যে ভবনে (হায়দার আলী ভবন) বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল, তার ঠিক পাশের কক্ষেই আটকে ছিল সাবির। সাজিদ ও সাবিরের বাবা হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘ছেলেটি (সাবির) ঘটনার পর থেকে অনেকটা আতঙ্কগ্রস্ত। আগেও কম কথা বলত, এখন আরও কম বলছে। স্কুলে যাওয়ার কথা বললেই ভয় পাচ্ছে।’ 

 

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, ‘আমরা হতাহতদের ঘটনা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। যারা নিহত হয়েছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যারা আহত চিকিৎসাধীন তাদের ব্যাপারে আমাদের টিম কাজ করছে। এদিকে গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় উৎসুক জনতাকে। তাদের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে গিয়ে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে দেখা যায়। সকাল ৯টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে আসে। তারা ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশে থাকা আরও কিছু ধ্বংসাবশেষ ও আলামত সংগ্রহ করে।

 

ইত্তেফাক/এমএএম

التعليقات